মলয় চক্রবর্তী, শিলিগুড়ি: শহরে আইন শৃঙ্খলার ওপর নজরদারি আরও বাড়াতে উদ্যোগ নিল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশ। বুধবার শিলিগুড়ির এয়ার ভিউ মোড় থেকে উদ্বোধন করা হল এরিয়াল সার্ভিলেন্স সিস্টেমের। শহরের আইন-শৃঙ্খলা, ট্রাফিক ব্যবস্থাসহ কোথাও কোনও রকমের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে কিনা তা সবকিছুই এখন থেকে পুলিশের নজরে থাকবে। এখন থেকে শহরের বিভিন্ন ট্রাফিক পয়েন্ট থেকে পুলিশের তরফে ড্রোন ওড়ানো হবে। ড্রোনের মাধ্যমে এই নজরদারি চালানো হবে বলে জানানো হয়েছে। এ দিন শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনার গৌরব শর্মা এই এরিয়াল সার্ভিলেন্স সিস্টেমের উদ্বোধন করেন। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিল শিলিগুড়ি মেট্রোপলিটন পুলিশের কর্তারা।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি বেশ কয়েকটি বেআইনি কর্মকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে শিলিগুড়িতে। তোলাবাজি করতে ভুয়ো রাজনৈতিক পরিচয় ব্যবহার করার ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২১ জুলাই। জানা যায় বিমল গুরুংয়ের নাম করেই চলছিল তোলাবাজি। ঘটনায় দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের সাইবার ক্রাইম থানা। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ওই দুই ব্যক্তির নাম দীপেশ ত্রিক্ষত্রী ও তারা পারিয়ার। দু জনই কালিম্পঙের বাসিন্দা।
পাশাপাশি এক ভুয়ো পুলিশের খোঁজ শিলিগুড়িতে। পুলিশ পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরেই প্রতারণার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয় সিকিমের দুই বাসিন্দা সহ ৪ জনকে। উদ্ধার হয় একটি বোলোরো গাড়ি, ডাক্তারের সিলমোহর ও কিছু কাগজপত্র। ভক্তিনগর থানার কাছে সিকিম যাওয়ার পথে সাত মাইল থেকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন গাড়ি থেকে টাকা তোলার অভিযোগ আসে। তৎক্ষণাৎ ভক্তিনগর থানার আইসি ঘটনাস্থলে পুলিশ ভ্যান পাঠিয়ে পুলিশ লেখা বোলেরো গাড়ি সমেত চার জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে দুইজন সিকিমের বাসিন্দা ও বাকি দুইজন শিলিগুড়ির শালুগাড়ার বাসিন্দা।
এছাড়াও সোনার বিস্কুটসহ দুই পাচারকারীকে গ্রেফতার করে ডিপার্টমেন্ট অফ রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স। ডিআরআই সূত্রে জানা যায়, ধৃতদের নাম রাকেশ কুমার এবং রমেশ কুমার শুক্লা। ধৃত দু-জনই উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা। প্রায় ৫০টি সোনার বিস্কুট উদ্ধার হয়েছে তাঁদের কাছ থেকে এবং উদ্ধার হওয়া সোনার বিস্কুটের আনুমানিক মূল্য প্রায় ৪ কোটি টাকা। সবমিলিয়ে একের পর এক ঘটনার জেরেই তৎপর জেলা পুলিশ। আর তাতেই নজরদারি কড়াকড়ি করার সিদ্ধান্ত বলে সূত্রের খবর।