শিলিগুড়ি: দক্ষিণবঙ্গের পর এবার উত্তরবঙ্গ। জাতীয় নাগরিকপঞ্জি ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের প্রতিবাদে শুক্রবার শিলিগুড়িতে হল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পদযাত্রা। দুপুর ১টায় শুরু হয় প্রতিবাদ মিছিল। এরপর এয়ারভিউ মোড়-হিলকার্ট রোড-ভেনাস মোড় হয়ে শিলিগুড়ির বাঘাযতীন পার্কে গিয়ে শেষ হয় পদযাত্রা। শিলিগুড়িতে পদযাত্রার পর সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা ভারতের কথা শুনতে চাই। আমরা পাকিস্তানের কথা শুনতে চাই না। প্রধানমন্ত্রী কি পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত হয়ে গেছেন ?

গতকালই মোদি সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে পথে নামা দল ও সংগঠন এবং পাকিস্তানকে এক মেরুতে এনে পরামর্শ দেন, ‘‘আন্দোলন করতে হলে পাকিস্তানের কার্যকলাপের বিরুদ্ধে করুন।’ কর্ণাটকের সিদ্ধগঙ্গা মঠে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেছিলেন, পাকিস্তানে ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের ওপর নির্যাতন, দমনপীড়ন চলছে। তাঁরা বাধ্য হয়েছেন ভারতে পালিয়ে আসতে। কিন্তু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সরব না হয়ে এই উদ্বাস্তুদের বিরুদ্ধেই সভা-সমাবেশ করছে কংগ্রেস ও সঙ্গীসাথীরা। মোদি আরও বলেছিলেন, নাগরিকত্ব আইনের বিরুদ্ধে যাঁরা প্রতিবাদ করছেন, তাঁদের অবশ্যই পাকিস্তানের অত্যাচারের বিরুদ্ধে সরব হওয়া উচিত।
প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যেই তীব্র ভাষায় কটাক্ষ করেছেন তৃণমূল নেত্রী। তিনি বলেছেন, সম্বৃদ্ধ সংস্কৃতি ও ঐতিহ্য সহ ভারত সুবৃহত্ দেশ। মমতা প্রধানমন্ত্রীকে প্রশ্ন করেন, নিয়ম করে পাকিস্তানের সঙ্গে আমাদের দেশের কেন তুলনা করেন আপনি ? আপনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী না পাকিস্তানের রাষ্ট্রদূত? প্রত্যেক ইস্যুতেই পাকিস্তানকে কেন এত মহিমান্বিত করেন আপনি? প্রধানমন্ত্রী কি ভারতের কথা ভুলে গিয়েছেন যে, তাঁকে মাঝেমধ্যেই পাকিস্তানের কথা বলতে হয়।


মমতা বলেছেন, মানুষের অধিকার কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। এটা মানবিকতার লজ্জা। ভবিষ্যতে দেশের মানুষের ঠিকানা থাকবে কিনা তা নিয়ে সন্দেহ। ভবিষ্যতকে সুরক্ষিত করতেই মানুষকে পথে নামতে হয়েছে।

মোদিকে মমতার কটাক্ষ, তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু সব সময় পাকিস্তানের কথা বলেন। কেন? আমরা ভারতীয় এবং আমরা অবশ্যই আমাদের দেশের বিষয় নিয়ে আলোচনা করব।