কলকাতা: বিরামহীন বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। কোচবিহারে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে কেন্দ্রের সতর্কতা। কোচবিহারের তুফানগঞ্জে জারি লাল সতর্কতা।


২ দিনের বৃষ্টিতে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জ পুরসভায় অধিকাংশ ওয়ার্ড জলমগ্ন। বেশ কিছু  বাড়ির একতলায় জল ঢুকে পড়ায় বিপত্তি। যাতায়াতের জন্য নামানো হয়েছে নৌকা। জলবন্দি বহু মানুষকে উদ্ধার করে নিকটবর্তী স্কুলগুলিতে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। প্রশাসনের পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের তরফে তাঁদের খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

টানা বৃষ্টিতে জলমগ্ন কোচবিহার ২ নম্বর ব্লকের ঘুঘুমারি এলাকা। গ্রাম প্লাবিত হওয়ায় আলিপুরদুয়ার-বামনহাট রেল লাইন সংলগ্ন উঁচু জমিতে আশ্রয় নিয়েছেন বহু গ্রামবাসী। প্রশাসনের তরফে জেলায় মোট ৫১৭টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ১৩টি ত্রাণ শিবির রয়েছে কোচবিহার পুর এলাকা এবং সংলগ্ন গ্রামগুলিতে। জলমগ্ন বাসিন্দাদের খাবারের জন্য ৯৭ টি কমিউনিটি কিচেন খুলেছে প্রশাসন। বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় প্রায় ২ লক্ষ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

প্রবল বৃষ্টিতে আলিপুরদুয়ার পুরসভার ২০টি ওয়ার্ড জলমগ্ন। তোর্সা, রায়ডাক, সঙ্কোশ নদীতে বাড়ছে জলস্তর। কালজানি নদীতে জারি করা হয়েছে লাল সতর্কতা। নদী সংলগ্ন অধিকাংশ গ্রামে কোমর সমান জল। সেতু ভেঙে পড়ায় ফালাকাটা-আলিপুরদুয়ার রাস্তা বন্ধ যান চলাচল। খোলা হয়েছে ৬০টি ত্রাণ শিবির। গোটা জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত ৪ লক্ষ মানুষ। উদ্ধার কাজে নেমেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা দল, এসএসবি এবং সিআরপিএফ।

তিস্তা ব্যারেজ থেকে আড়াই হাজার কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে।  ভূটানে বৃষ্টির জেরে তিস্তা নদীর জল আরও বেড়ে যাওয়ায় সম্ভাবনা। জল বেড়ে গেলে নদী সংলগ্ন গ্রাম প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। জলঢাকা নদীতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। ধূপগুড়ি পুর এলাকায় অবস্থার কিছুটা উন্নতি। কয়েকটি জায়গায় জল নামতে শুরু করেছে। জলঢাকা, ডুডুয়া, গিলান্ডি নদীতে জল বেড়ে যাওয়ার নদী সংলগ্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় আশঙ্কা রয়েছে।