সোনারপুর:  সোনারপুরে তৃণমূলের ট্যাক্সি ইউনিয়নের নেতা খুনের কিনারা করল পুলিশ। প্রেমিককে সঙ্গে নিয়ে খুনের অভিযোগ স্ত্রী-র বিরুদ্ধে। গ্রেফতার স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিক। ৯ এপ্রিল, দক্ষিণ ২৪ পরগনার সোনারপুরে খুন হন আইএনটিটিইউসি নেতা সমীর মিস্ত্রি। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, সেদিন বৃষ্টির রাতে খোলা ছিল বাড়ির সদর দরজা। এরপরই খতিয়ে দেখা হয় মৃতের স্ত্রী মধুমিতার মোবাইলের কললিস্ট। পুলিশ সূত্রে খবর, কললিস্টে চন্দন মণ্ডল নামে এক যুবকের সঙ্গে স্ত্রীর কথোপকথনের প্রমাণ মেলে। মৃতের পরিবারের সদস্যদের কথাতেও স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের ইঙ্গিত পান তদন্তকারীরা। এরপরই আজ ভোরে সোনারপুর থেকে স্ত্রী ও তাঁর প্রেমিককে গ্রেফতার করে বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ ও সোনারপুর থানার পুলিশ। পুলিশের দাবি, জেরায় খুনের কথা কবুল করেছেন স্ত্রী।

পুলিশ সূত্রে খবর, দেড় বছর আগে সমীর মিস্ত্রির স্ত্রী মধুমিতার সঙ্গে চন্দন মণ্ডলের বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্ক তৈরি হয়। সোনারপুর স্টেশনে খবরের কাগজ ও ম্যাগাজিন বিক্রির পাশাপাশি, গড়িয়াহাটের ফুটপাথে পোশাক বিক্রি করতেন বিবাহিত চন্দন। মধুমিতা যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে রাঁধুনির কাজ করেন। পুলিশের জেরায় চন্দন জানিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কথা বলার জন্য মধুমিতাকে একটি মোবাইল ও সিমকার্ড দিয়েছিলেন তিনি। মধুমিতার সেই মোবাইলটি থাকত বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যান্টিনে। রাতে এক ট্রেনে বাড়ি ফিরতেন চন্দন ও মধুমিতা। পুলিশের দাবি, আইএনটিটিইউসি নেতা খুনের দিন দুজনের মধ্যে ১১ বার কথা হয়।

মধুমিতার দাবি, বিয়ের জন্য তাঁকে চাপ দিচ্ছিলেন চন্দন। পুলিশি জেরায় চন্দনের পাল্টা দাবি, সমীরকে না সরালে, তাঁকে পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছিলেন মধুমিতা। ২ জনের মধ্যে বারুইপুরের একটি আবাসনের ফ্ল্যাটে বহুবার শারীরিক সম্পর্ক হয় বলে চন্দনের দাবি। পুলিশ সূত্রে খবর, স্ত্রীর বিবাহ-বহির্ভূত সম্পর্কের কথা জেনে ফেলেন সমীর। দম্পতির মধ্যে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা চলছিল বলে পুলিশ জানিয়েছে।