রঞ্জিত হালদার, সোনারপুর:  করোনা কেড়ে নিয়েছে কাজ। বাড়ছিল ঋণের বোঝা। চাপ সহ্য করতে না পেরে সোনারপুরে যুবকের আত্মহত্যার অভিযোগ। বাড়ি থেকে বেরনোর ২ দিন পর উদ্ধার হল মৃতদেহ।


কাঁধে ছিল ৫ জনের সংসারের দায়িত্ব।কিন্তু করোনা পরিস্থিতিতে কাজটা চলে গিয়েছিল। জিনিসপত্রের যা দাম, ধার করেও সামলানো যাচ্ছিল না। এই সঙ্কটে পড়েই আত্মঘাতী হয়েছেন এক যুবক।তেমনই দাবি পরিবারের।


বৃহস্পতিবার সকালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার সোনারপুরের বেনেচাঁদনিতে, বাড়ির কাছে একটি বাগান থেকে উদ্ধার হয় ৩১ বছরের নাজির খানের ঝুলন্ত দেহ।পরিবার সূত্রে খবর, সোমবার সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন নাজির। এরপর ফোনে ভিডিও কল করে তিনি আত্মঘাতী হন বলে দাবি স্ত্রীর। কিন্তু যুবকের খোঁজ না মেলায় পুলিশের দ্বারস্থ হয় পরিবার।অবশেষে তিন দিন পর উদ্ধার হল মৃতদেহ।মৃতের স্ত্রী বলেছেন, বন্ধুর ফোনে ফোন করছিল। দেখাচ্ছিল, গলায় ফাঁস দিচ্ছে। বারণ করছিলাম। কিন্তু ফোন কেটে দেয়। ৩০ হাজার টাকা ধার করেছিল। সে কারণেই মনে হয়, আত্মহত্যা করেছে।


মৃতের ভাই বলেছেন, জ্যাম-জেলির কারখানায় কাজ করতো।  কার্যত লকডাউনে কাজ চলে যায়। তারপর রাস্তা তৈরির কাজে যোগ দেয়। সেই কাজও চলে যায়। কাজ হারিয়ে টাকাপয়সা ধার করেছিল। পাওনাদাররা  বাড়িতে বারবার আসছিল। কাজ নেই তো ধার শোধ করবে কীভাবে! সেজন্যই হয়ত আত্মহত্যা করেছে।


পরিবারের দাবি, ঋণের বোঝা সহ্য করতে না পেরে নিজেকে শেষ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যুবক। কিন্তু গৃহকর্তার মৃত্যুতে এখন অথৈ জলে গোটা পরিবার।


করোনাভাইরাসের প্রকোপ রোধে সারা দেশজুড়েই জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। গত বছর দেশজুড়ে লকডাউন জারি হয়েছিল। দ্বিতীয় ঢেউয়ের প্রকোপের পর বিভিন্ন রাজ্যের জারি হয়েছে বিধিনিষেধ। এমনই পরিস্থিতিতে অনেকেই রুটিরুজি হারিয়েছেন। ফলে অত্যন্ত দুরবস্থার মধ্যে পড়েছেন তাঁরা। করোনা অতিমারীর প্রকোপ কমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার আশায় রয়েছেন সবাই।