জয়দীপ হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: কাকদ্বীপের SDPO-র নামে সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো প্রোফাইল খুলে আর্থিক প্রতারণার ফাঁদ পাতার অভিযোগ উঠল। মধ্যপ্রদেশ থেকে চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করেছে এ রাজ্যের পুলিশ। আন্তঃরাজ্য প্রতারণা চক্রে আর কারা জড়িত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


এখনই ২৬ হাজার ৫০০ টাকা দরকার। পরের দিন সকালেই মিটিয়ে দেওয়ার আশ্বাস। ফেসবুক প্রোফাইল থেকে টাকা চাইছেন খোদ পুলিশ কর্তা? দেখেই দানা বাঁধে সন্দেহ। দায়ের হয় অভিযোগ। তদন্তে নেমে, আন্তঃরাজ্য প্রতারণার পর্দাফাঁস করল পুলিশ। কাকদ্বীপের এসডিপিও-র অভিযোগ, তাঁর পারিবারিক ছবি ব্যবহার করে ভুয়ো প্রোফাইল খোলা হয়। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে সেই প্রোফাইল থেকে চাওয়া হয় আর্থিক সাহায্য। পুলিশ কর্তার প্রোফাইল থেকে এমন অনুরোধ আসায় তাজ্জব হয়ে যান পরিচিতরা। 


কাকদ্বীপ এসডিপিও অনিলকুমার রায় জানিয়েছেন, জুনের গোড়ায় পরিচিতর ফোনে জানতে পারি আমার নামে ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পরিবারের ছবি দেয়। অসুস্থতার অজুহাতে টাকা চাওয়া হয়। সঙ্গে সঙ্গে অভিযোগ করি। ঘটনারর কথা জানতে পেরে সুন্দরবন পুলিশ জেলার সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করেন কাকদ্বীপের এসডিপিও। 


তদন্তে নেমে মধ্যপ্রদেশের রায়সেন জেলা থেকে প্রতারণা চক্রের এক পাণ্ডাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতের আইনজীবী সব্যসাচী দাস জানিয়েছেন, মধ্যপ্রদেশ থেকে একজনকে গ্রেফতার করেছে। ফেক অ্যাকাউন্ট খুলেছিল এসডিপিও সাহেবের নামে। পুলিশের দাবি, শুধু এসডিও নয়, বিভিন্ন ব্যক্তির নামে সোশাল মিডিয়ায় ভুয়ো প্রোফাইল খুলে টাকা চাইত চক্রটি। এই চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। 


উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই কলকাতা শহরে এমনই এক ভুয়ো পুলিশের খোঁজ মেলে। পুলিশ পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে প্রতারণার অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। গ্রেফতার করা হয় সিকিমের দুই বাসিন্দাসহ ৪ জনকে। উদ্ধার একটি হয় বোলোরো গাড়ি, ডাক্তারের সিলমোহর ও কিছু কাগজপত্র।


মধ্যরাতে ভক্তিনগর থানার কাছে সিকিম যাওয়ার পথে সাত মাইল থেকে পুলিশের পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন গাড়ি থেকে টাকা তোলার অভিযোগ আসে। তৎক্ষণাৎ ভক্তিনগর থানার আইসি ঘটনাস্থলে পুলিশ ভ্যান পাঠিয়ে পুলিশ লেখা বোলেরো গাড়ি সমেত চার জনকে গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে দুইজন সিকিমের বাসিন্দা ও বাকি দুইজন শিলিগুড়ির শালুগাড়ার বাসিন্দা। সবমিলিয়ে রাজ্যজুড়ে একের পর এক প্রতারণার ঘটনা আতঙ্ক বাড়াচ্ছে।