ব্রতদীপ ভট্টাচার্য, মহেশতলা: মহেশতলার একটি রাসায়নিক কারখানায় বিধ্বংসী আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। বিস্ফোরণে আহত অন্তত ৫ শ্রমিক। আড়াই ঘণ্টা অতিক্রান্ত হওয়ার পরও দাউদাউ করে জ্বলছে আগুন। দমকলের ৬টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা চালাচ্ছে। আগুনের গ্রাসে পাশের আরও ২টি কারখানা।


জানা গিয়েছে, কারখানায় রাখা রাসায়নিক ভর্তি ড্রাম ফেটে বিস্ফোরণ ঘটে। সেখান থেকে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে। বিস্ফোরণে অন্তত ৫ জন গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। 


স্থানীয়দের দাবি, বেলা পৌনে ১২টা নাগাদ প্রথমে স্যানিটাইডজার তৈরির কারখানায় আগুন লাগে। সেইসময় স্যানিটাইজার তৈরির ওই কারখানায় কাজ করছিলেন ১৫ জন শ্রমিক। আহত শ্রমিকদের উদ্ধার করে আশেপাশের কারখানার শ্রমিকরাই নিয়ে যান বেহালার বিদ্যাসাগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে।


এলাকাটি শিল্পতালুক হওয়ায় আশেপাশে আরও অনেক কারখানা রয়েছে। প্রত্যেকটি কারখানায় দাহ্য পদার্থ রয়েছে বলে অনুমান। ফলে, সেখানে আগুন ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ইতিমধ্যেই পাশের  আরও ২টি কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়েছে বলে জানা গিয়েছে।


ইতিমধ্যে আড়াই ঘণ্টা পার হয়ে গিয়েছে। কমছে তো নয়, উল্টে আগুনের শক্তি আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। একের পর এক কারখানা আগুনের গ্রাসে চলে যাচ্ছে।  যে কারখানায় প্রথম আগুন লেগেছিল, তা সম্পূর্ণ ভস্মীভূত। পাশের কারখানা গোটাটাই আগুনের গ্রাসে। 


প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনের ফলে, কারখানার দেওয়ালের একাংশ ভেঙে পড়ে। ফলে, আগুন রাস্তায় চলে আসে। আগুনের তাপ এতটাই বেশি যে, দমকল বাহিনীকেও মাঝে পিছিয়ে আসতে হয়।



প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আগুন দ্রুত ছড়াচ্ছে। দাউদাউ করে জ্বলছে কারখানা। আগুনের লেলিহান শিখা বহু দূর থেকেই দৃশ্যমান।  চারদিক ধোঁয়ায় ঢেকে গিয়েছে।  এলাকায় তীব্র আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। 


এখনও পর্যন্ত ঘটনাস্থলে ৬টি দমকলের ইঞ্জিন পৌঁছেছে। কিন্তু, আশেপাশে জলাশয় না থাকায় বেগ পেতে হচ্ছে দমকল বাহিনীকে বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। 


দমকল সূত্রে খবর, ভিতরে রাসায়নিক ভর্তি থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে বেগ পেতে হচ্ছে। দমকল সূত্রে খবর, রাসায়নিকের আগুন জল দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা যাবে না। দমকলের মতে, ফোম দিয়ে এই আগুন বাগে আনতে হবে। 


ঘটনাস্থলে পৌঁছছেন দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু। দমকলের শীর্ষ আধিকারিকরাও পৌঁছেছেন। আগুন কী করে নিয়ন্ত্রণ করা যায়, বা কী কী পদক্ষেপ নেওয়া যায়, সেই কৌশল স্থির করতে বৈঠক চলছে।