আসানসোল ও কলকাতা: নয়াদিল্লি-শিয়ালদা রাজধানী এক্সপ্রেসে পচা খাবার দেওয়ার অভিযোগ। খাবার খেয়ে অসুস্থ কয়েকজন। আসানসোল ও শিয়ালদা স্টেশনে দফায় দফায় বিক্ষোভ যাত্রীদের।
যাত্রীদের অভিযোগ, নয়াদিল্লি-শিয়ালদা রাজধানী এক্সপ্রেসে সোমবার রাতে যে খাবার দেওয়া হয়, তা ছিল পচা। কোনও প্যাকেটে ঢাকা সারাতেই নাকে আসে পচা গন্ধ... কোনও প্যাকেটে দেখা যায়, খাবারের মধ্যে পড়ে পোকা। খাওয়া তো দূরের কথা, খাবারের এক কণা মুখে তুলতে পারেনি কেউ। এই খাবার খেয়ে বি-৮ এবং বি-৯ কামরার কয়েকজন যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়েন বলে অভিযোগ। এর জেরেই আসানসোল স্টেশনে নেমে বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা।
মঙ্গলবার সকালে রাজধানী এক্সপ্রেস শিয়ালদা পৌঁছলে, সেখানেও স্টেশন ম্যানেজারের অফিসের সামনে দীর্ঘক্ষণ বিক্ষোভ দেখান যাত্রীরা। শিয়ালদা স্টেশন ম্যানেজার আনন্দ বর্ধন আশ্বাস দেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। অভিযোগ সত্যি হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আর শুধু সাধারণ মানুষ নন, রেলের খাবার নিয়ে একই অভিযোগ তুলেছেন দেশের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ও। বলেন, সাধারণ লোক যেটা খাচ্ছে চিকেন কাটলেটে চিকেন নেই। রাস্তা থেকে আনা সস্তার। মানুষকে বোকা বানানো হচ্ছে। আমাকেও খারাপ খাবার দেওয়া হয়। বিষয়টি রেলমন্ত্রীকে জানাবেন বলেও জানিয়েছেন বাবুল।
নয়াদিল্লি-শিয়ালদা রাজধানী এক্সপ্রেসের ভাড়া এতটাই যে সকলের এই ট্রেনে চড়ার সাধ্য হয় না। থ্রি টিয়ার এসি কামরার ভাড়া ২ হাজার ৮০৫ টাকা। টু টিয়ার এসি কামরার ভাড়া ৪ হাজার ১৮৫ টাকা। ফার্স্ট ক্লাসের ভাড়া ৪ হাজার ৮৭৫ টাকা।
অনেক ক্ষেত্রে বিমানে দিল্লি থেকে কলকাতা আসতেও এর থেকে কম খরচ পড়ে। তা সত্ত্বেও রাজধানীতে টিকিটের জন্য কাড়াকাড়ি পড়ে একটাই কারণে। ভাল পরিষেবা। কিন্তু, এত টাকা দিয়ে টিকিট কাটার পরও সেই ট্রেনের যাত্রীদের যদি ১৮ ঘণ্টা খালি পেটে সফর করতে হয়, তাহলে তাঁদের ক্ষোভ কি অযৌক্তিক? অনেকে বলছেন, ঘুরপথে ট্রেনের ভাড়া তো মাঝেমধ্যেই বাড়ছে। তারপরও পরিষেবার মানের সঙ্গে যাত্রীদের আপোস করতে হবে কেন?