কাটোয়া:  টোকাটুকিতে বাধা দেওয়ায় শিক্ষিকার শ্লীলতাহানির অভিযোগ। শিক্ষককে ফেলে মার ছাত্রদের। কাটোয়ার কাশিরামদাস বিদ্যায়তনের ঘটনায় রিপোর্ট তলব শিক্ষামন্ত্রীর।

প্রাচীনকাল থেকেই ভারতীয় সমাজ ব্যবস্থায় বাবা-মায়ের থেকেও উপরে স্থান পেয়েছেন গুরুরা। সেই গুরুরই শ্লীলতাহানি-মারধরের অভিযোগ পড়ুয়াদের বিরুদ্ধে।

দু’জনেরই অপরাধ, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় গণ টোকাটুকিতে বাধা দিয়েছিলেন তাঁরা। আর এর জেরেই রণক্ষেত্র বর্ধমানের কাটোয়ার কাশিরামদাস বিদ্যায়তন।

কাশিরামদাস বিদ্যায়তনে উচ্চ মাধ্যমিকের সিট পরেছিল ভারতী ভবন বিদ্যালয়ের। সোমবার ছিল রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরীক্ষা। আক্রান্ত শিক্ষিকার দাবি, পরীক্ষার শুরু থেকেই নকল করতে শুরু করে পরীক্ষার্থীরা। সতর্ক করা হলেও শোনেনি ছাত্ররা।

অভিযোগ, পরীক্ষা শেষ হতেই, তাঁকে উদ্দেশ্য করে গালাগালি করতে শুরু করে ছাত্ররা। খাতা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টাও করে তারা।

সহকর্মীকে বাঁচাতে এসে রেহাই পাননি স্কুলেরই আরেক শিক্ষক। একইসময়ে পরীক্ষা চলছিল কাশিরামদাস বিদ্যায়তনের একাদশ শ্রেণির। স্কুলের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অপমান সহ্য করতে না পেরে, ভারতী ভবন বিদ্যালয়ের ছাত্রদের ওপর চড়াও হয় তাঁরা। শুরু হয় দুই স্কুলের ছাত্রদের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ।

কাটোয়া থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ শিক্ষামন্ত্রী। দ্রুত রিপোর্ট চেয়েছেন তিনি।

আহত শিক্ষক ও ৩ ছাত্রকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।