সুমন ঘড়াই, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, সমিত সেনগুপ্ত ও মনোজ্ঞা লহিয়াল : হেলিকপ্টারের বদলে বিমান। এবার রাজ্যের ভিআইপিদের যাতায়াতের জন্য ছোট বিমান ভাড়া নিতে চলেছে রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই যার জন্য টেন্ডার ডেকেছে পরিবহণ দফতর। এই প্রসঙ্গে ই-টেন্ডারের ছবি সামনে এনে রাজ্যকে আক্রমণ করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাল্টা জবাব দিয়েছেন কুণাল ঘোষ।
পরিবহণ দফতরের তরফে যে ই-টেন্ডার ডাকা হয়েছে, সেখানে বিজ্ঞতিতে বলা হয়েছে, ৮ থেকে ১০ জন বসতে পারেন, এমন বিমান ভাড়া নিতে ইচ্ছুক পশ্চিমবঙ্গ সরকার। ৩ থেকে ৫ বছরের জন্য লিজ নেওয়া বিমান প্রতি মাসে ৪৫ ঘণ্টা পর্যন্ত চলবে। বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ওই বিমান যেন ফ্যালকন-২০০০ মডেল বা তার সমতুল্য হয়। ডবল ইঞ্জিনের ওই বিমানে চড়ে যাতে দেশের যেকোনও প্রান্তে পৌঁছনো যায়, বিজ্ঞপ্তিতে সেই বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
আর এনিয়েই তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। পরিবহণ দফতরের ৯ পাতার টেন্ডারের প্রথম পাতার ছবি দিয়ে ট্যুইট করেছেন প্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি লিখেছেন, 'সাধারণ মানুষ যখন ভুয়ো টিকা নিয়ে সন্ত্রস্ত তখন (স্বঘোষিত) প্রধানমন্ত্রীর জন্য পুষ্পক রথ! এবার হেলিকপ্টারের বদলে ১০ আসনের বিলাসবহুল বিমান নেবে রাজ্য। সারা দেশে সরকারি খরচে লোকসভা ভোটের প্রচারটাই কি আসল উদ্দেশ্য?' বিজেপি বিধায়ক তথা বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আক্রমণ শানাতেই পাল্টা ট্যুইট করে জবাব দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি লিখেছেন, 'তৎকাল বিজেপি নেতা, যিনি তৃণমূলের মন্ত্রী থাকার সময় রাজ্য সরকারের হেলিকপ্টারে চড়ে যাত্রা করেছেন, তিনি এখন বিমান নিয়ে চেঁচামেচি করছেন। এবং এই বিজেপিই দলবদলুদের জন্য বেসরকারি বিমান ব্যবহার করেছিল! নির্লজ্জ...'
২০১৬ সাল থেকে পবনহংসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ রাজ্য সরকার। রাজ্যে ভিআইপিদের জন্য ওই কেন্দ্রীয় সংস্থার কাছ একটি হেলিকপ্টার ভাড়া নিয়ে রেখেছে রাজ্য। মূলত মুখ্যমন্ত্রীর জেলা সফরে তা ব্যবহৃত হয়। এবার বিমান ভাড়া নেওয়ার জন্য ডাকা হল টেন্ডার। ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড বা WBTIDCL সূত্রে খবর, রাজ্যে ভিআইপি-দের যাতায়াতে হেলিকপ্টার ব্যবহার করার ক্ষেত্রে সন্ধেয় অসুবিধে হয়। সেক্ষেত্রে বিমান থাকলে, যে কোনও সময়ই যাত্রা সম্ভব। মূলত সেই কারণেই বিমান ভাড়ার সিদ্ধান্ত।