কলকাতা: করোনার তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় আগাম সতর্ক রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। এনিয়ে স্বাস্থ্য ভবনে, বৈঠক করলেন রাজ্য সরকার গঠিত ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি। তৃতীয় ঢেউ মোকাবিলায় পরিকাঠামোগত উন্নতি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়।
করোনার প্রথম ও দ্বিতীয় ঢেউয়ের ধাক্কায় বেসামাল দেশ। এরইমধ্যে চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, তৃতীয় ঢেউয়ে শিশুদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বেশি হতে পারে। সংক্রমণ মোকাবিলায় তাই আগাম সতর্ক রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর। বৃহস্পতিবারই, এনিয়ে স্বাস্থ্যভবনে বৈঠকে বসে রাজ্য সরকার গঠিত ১০ সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি। সূত্রের খবর, তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়লে, তা সামলানোর জন্য কী পরিকাঠামো তৈরি, সে বিষয়ে এদিনের বৈঠকে আলোচনা হয়।
সূত্রের খবর, আলোচনায় বলা হয়, করোনা মোকাবিলায় যে চিকিত্সা পরিকাঠামো তৈরি হয়েছে, তা আরও উন্নত করা হবে। বিভিন্ন হাসপাতালে ১২-১৮ বয়সীদের জন্য বেড বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। শিশুদের পাশাপাশি, প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও বেড বাড়ানো হবে। এই দেড় বছরে চিকিত্সা করতে গিয়ে যে সমস্ত ত্রুটি নজরে এসেছে, তা নথিভুক্ত করা হবে। যেমন, ডায়ালিসিস, ক্যান্সার রোগীদের চিকিত্সায় সমস্যা হয়েছে। সেই সমস্যা যাতে পরবর্তীকালে না হয়, তা দেখা হবে।
শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিত্সক অপূর্ব ঘোষ বলেন, “বেডের সংখ্যা, অক্সিজেনের পরিমাণ এবং ভেন্টিলেশন বেডের সংখ্যা বাড়ানো উচিত। তবে তৃতীয় ঢেউ বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার ভয় থাকলেও সেখানে আশার আলো যোগাচ্ছে বাচ্চাদের রিকভারি রেট। অ্যাডাল্টদের অনেকক্ষেত্রেই ইমিউনিটি বেড়ে গেছে বা ইনফ্যাক্ট হয়ে প্রটেকশন পেয়ে গেছে তাই বাচ্চাদের আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকলেও বাচ্চারা অনেকেই asymptomatic হয়ে ইমিউনিটি তৈরি হয়ে গেছে।“
বুধবারই, ১২ বছর পর্যন্ত শিশুর মায়েদের টিকাকরণে অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ১২ বছর পর্যন্ত বাচ্চা রয়েছে, সেই মায়েদের আগে ভ্যাকসিন দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে। গুরুত্ব দিয়ে আগে সংশ্লিষ্টদের টিকাকরণের নির্দেশ দেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
জানা গিয়েছে, এই প্রসঙ্গ নিয়েও এদিনের বৈঠকে আলোচনা করা হয়। মায়েদের টিকাকরণ কীভাবে আগে করানো যেতে পারে, তা নিয়ে আলোচনা হয়। এছাড়াও শিশুদের ভ্যাকসিনেশনে অনুমতি এলেই, তা জরুরিভিত্তিতে শুরু করতে হবে। ভ্যাকসিনেশন প্রক্রিয়া যাতে মসৃণভাবে হয়, তা দেখতে হবে। এছাড়াও, বর্তমান যা পরিকাঠামো, তাতে প্রাপ্ত বয়স্কদের চিকিত্সা পরিষেবা কীভাবে বাড়ানো যায়, তা নিয়েও আলোচনা হয়।