কলকাতা: রাজ্য সরকার বনাম রাজ্যপালের সংঘাত অব্যাহত। বুধবার ফের নবান্নকে নিশানা করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড় ট্যুইটে লেখেন, স্বরাষ্ট্র দফতরের ট্যুইটেই স্পষ্ট, আইনের শাসন বলে কিছু নেই। কী লজ্জাজনক বিষয়! একবছর ধরে আইপিএস জ্ঞানবন্তের বিষয়ে তথ্য জানতে চাওয়া হলেও, তা জানাননি মুখ্যমন্ত্রী ও মুখ্যসচিব। এ ব্যাপারে তাঁরা (মুখ্যমন্ত্রী এবং মুখ্যসচিব) দ্রুত বক্তব্য জানান। পরে আরও বলেন, বাংলার পুলিশ দলদাস, সরকারি কর্মীরা সব জায়গায় একটি দলের হয়ে কাজ করছে, পরে এই নিয়ে পস্তাবে।
জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূল। বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় বলেন, রাজ্যপালের রাজনীতিতে নামা উচিত, ওদের তো নেতা নেই, ৫৮ বছরে এরকম রাজ্যপাল দেখিনি।
বিধানসভা ভোটের আগে আগে যখন পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হচ্ছে, ঠিক তখন একমাস ধরে পাহাড়ে রয়েছে রাজ্যপালও। এনিয়েও তাঁকে আক্রমণ করেছে তৃণমূল। সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দার্জিলিং গেলেন সেলুন কারে, খরচ দেড় লক্ষ টাকা, তুমি তো প্লেনে যে পারতে, তাতে ১০ হাজার খরচ হতো। আপনি দার্জিলিংয়ে গিয়ে বসে আছেন, বিজেপির নেতাদের সঙ্গে শলা পরামর্শ করছেন।
রাজ্যপালের পাশে দাঁড়িয়ে তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুলেছে গেরুয়া ব্রিগেড। কল্যাণের উত্তরে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, তৃণমূল কি চায় ট্রাকে চড়ে যাবেন?
সাম্প্রতিককালে বঙ্গ বিজেপির একাধিক নেতার মুখে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির দাবি শোনা গিয়েছে। দিল্লিতে এ নিয়ে অমিত শাহের কাছে দরবার পর্যন্ত করে এসেছেন তাঁরা। এরপর কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাজ্যপালও এই প্রসঙ্গে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করেন। ধনকড় বলেন, রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি একেবারে ভেঙে পড়েছে। তবে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি নিয়ে রাজ্যপাল হিসেবে কোনও ব্যক্তিগত মতামত দিতে পারি না। সংবিধানে এ নিয়ে বলা আছে। এখানকার পরিস্থিতি নিয়ে সবকিছু আমি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে বলেছি।
এই প্রেক্ষাপটেই রাজ্যপালকে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়। বলেন, ধনকড় বিজেপির সবচেয়ে বড় এজেন্ট, বিজেপির সমস্ত কর্মসূচি রূপায়নে দায়িত্ব পালন করছেন সাংবিধানিক পদে থেকে। তিনি যোগ করেন, যদি কোনওদিন বাংলায় ৩৫৬ করতে চান, তাহলে কলকাতার রাজপথে তোমার গাড়ি বেরতে দেব না, তোমাকে ছাড়ব না ধনকড়।