পশ্চিম বর্ধমান: পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৩০ শতাংশ সংখ্যালঘু ভোট। ২০১১ থেকে এই ভোটব্যাঙ্ক কার্যত পুরোটাই তৃণমূলের দিকে। কিন্তু, ২০১৯ সালের লোকসভা ভোটে সেই ছবি কিছুটা বদলে গিয়েছে। ১৮টি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত লোকসভা আসনের ৪টি তৃণমূলের থেকে বিজেপির হাতে গিয়েছে।
এই অবস্থায় বাংলায় মিমের মূল স্তম্ভ বলে দাবি করে মিম নেতা শেখ আনোয়ার হুসেন পাশাকে নিজেদের দলে টেনে সংখ্যলঘু ভোট ভাগ রুখতে, যখন মরিয়া তৃণমূল, তখন পিছিয়ে থাকতে চাইছে না বিজেপিও!
মমতা বন্দ্যেপাধ্যায়ের আমলে কোন উন্নয়ন হচ্ছে না, এই অভিযোগে বুধবার আসানসোল উত্তর বিধানসভার কয়েকশো সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষ তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিলেন।
এক যোগদানকারী বলেন, তৃণমূল করতাম। কিন্তু মন্ত্রী মলয় ঘটক কোনও উন্নয়ন করছেন না। উন্নয়ন করছে না তৃণমূল পরিচালিত পুরসভাও। তাই বিজেপিতে যোগ দিলাম।
যদিও এই যোগদানকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তৃণমূল। তৃণমূল কংগ্রেস পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, দিদি যদি কোনও কাজ করে না থাকেন। তাহলে বাবুল সুপ্রিয় দুবারের সাংসদ। উনি কী কাজ করেছেন তা আগে বলুন?
পাল্টা বিজেপি পশ্চিম বর্ধমান জেলা সভাপতি লক্ষ্মণ ঘড়ুই বলেন, ভুল বলছেন জিতেন্দ্র জিওয়ারি। দিদির আমলে সংখ্যালঘুদের জন্য কোনও উন্নয়ন হয়নি। আতঙ্ক থেকে এই কথা বলছেন।
গত লোকসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী আসানসোল লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত ৭টি বিধানসভার মধ্যে ৭টিতেই এগিয়ে রয়েছে বিজেপি।
এই পরিস্থিতিতে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের একাংশের বিজেপি মুখী হওয়ার সিদ্ধান্ত শাসক দলের অস্বস্তি বাড়াতে পারে বলেই মত রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের।