পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পরই মঙ্গলবার সকাল হতে না হতেই নিজের মোবাইল ফোনের সুই অফ করে দেন তৃণমূল নেতা তাপস মল্লিক।
মঙ্গলবারই ডায়মন্ডহারবার থেকে সরিষায় শ্বশুরবাড়িতে গিয়ে ওঠেন তৃণমূল নেতা। কিছুক্ষণ থাকার পর সেখান থেকেও চলে যান খুনে অভিযুক্ত শাসক দলের নেতা তাপস মল্লিক। এরপর সরিষা থেকে চলে যান বজবজে, শ্যালিকার বাড়িতে।
তাঁর পিছনে যে পুলিশ, হন্যে হয়ে পড়েছে, সেই খবর ঠিকই পৌঁছে যাচ্ছিল ডারমন্ডহারবারের এই দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতার কাছে। তাই কোনও ঝুঁকি নিতে চাননি তাপস মল্লিক। দক্ষিণ ২৪ পরগনার বজবজ থেকে তাপস মল্লিকের পরের গন্তব্য হয় উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুর।
তবে দত্তপুকুর থেকে আর পালানোর সুযোগ পাননি ছাত্র খুনে অভিযুক্ত এই তৃণমূল নেতা। বামনগাছিতে চৌমাথায় নাকাচেকিংয়ের সময় ধরা পড়ে যান তিনি।
কিন্তু কী করে তাপস মল্লিকের হদিশ পেল পুলিশ? মাথার খোঁজে কানে টান দিতে শুরু করেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতা গা ঢাকা দেওয়ার পর তাঁর ভাইকে জেরা শুরু করে পুলিশ। ভাইকে জেরা করেই দাদার নতুন মোবাইল নম্বর নেওয়ার কথা জানতে পারেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি তাপস মল্লিকের ঘনিষ্ঠ তৃণমূলের এক শ্রমিক সংগঠনের নেতার ওপর নজরদারি শুরু করে পুলিশ।
সেই আইএনটিটিইউসি নেতাকে ফোন করলে, তৃণমূল নেতা নতুন মোবাইল নম্বর যাচাই করে নেয় পুলিশ। সঙ্গে সঙ্গে মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে তাপস মল্লিকের অবস্থান সম্পর্কে নিশ্চিত হন তদন্তকারীরা। তারপর আর পুলিশের জাল থেকে বাঁচতে পারেননি এই রাঘববোয়াল।