কলকাতা: রোজভ্যালি থেকে কীভাবে টাকা নিতেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়? তিনি না গেলে তাঁর হয়ে কারা সেই টাকা আনতে যেতেন? রোজভ্যালিকাণ্ডের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে তা উল্লেখ করেছে সিবিআই। যদিও, সুদীপের ঘনিষ্ঠদের দাবি, এ সবই সিবিআই-এর মনগড়া গল্প।


রোজভ্যালিকাণ্ডের সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সিবিআইয়ের দাবি, গৌতম কুণ্ডুর কাছে ভিজিটিং কার্ড পাঠিয়ে টাকা চেয়ে পাঠাতেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। একেবারে তারিখ ধরে ধরে সেকথা সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে উল্লেখ করেছে সিবিআই। তাদের দাবি, ২০১০ সালের ১৮ মে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর তৎকালীন পিএসও-র মাধ্যমে রোজভ্যালি থেকে ৫ লক্ষ টাকা নেন।

চার্জশিটে সিবিআই-এর দাবি, সাংসদ নিজের ভিজিটিং কার্ডের পিছনে গৌতম কুণ্ডুর উদ্দেশে লিখে দেন, প্যাকেটটা দিয়ে দিতে।

সেই ভিজিটিং কার্ড দেখিয়েই সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৎকালীন পিএসও রোজভ্যালির দফতর থেকে টাকা নিয়ে আসেন।

যদিও, সুদীপের ঘনিষ্ঠদের দাবি, এ সবই সিবিআই-এর মনগড়া গল্প।

যদিও, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, সুদীপ যে রোজভ্যালি থেকে একবারই টাকা নিয়েছেন, এমন নয়। সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে তারা দাবি করেছে, ২০১১ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর রোজভ্যালির ম্যাঙ্গো লেনের অফিস থেকে নিজে হাতে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে আসেন সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই টাকা তাঁকে দেন রোজভ্যালির এক তৎকালীন কর্মী।

সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে সিবিআই-এর দাবি, ২০১২ সালের অক্টোবরে সস্ত্রীক সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ইউরোপ ভ্রমণের খরচ বাবদ কলকাতার একটি ভ্রমণ সংস্থাকে ১৭ লক্ষ ১৭ হাজার ৮০০ টাকা দেয় রোজভ্যালি।

এছাড়া, রোজভ্যালি কর্ণধার গৌতম কুণ্ডু বিভিন্ন সময়ে টাকার প্যাকেট নিয়ে সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি যেতেন বলেও চার্জশিটে দাবি করেছে সিবিআই।

তৃণমূল সূত্রে দাবি, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে জামিন না পান, সেজন্যই সাপ্লিমেন্টারি চার্জশিটে এসব গল্প ফেঁদেছে সিবিআই।সুদীপ নিজের খরচে বিদেশ ভ্রমণ করেছেন।

অর্থাৎ, দাবি পাল্টা দাবি। এই ঘিরেই সরগরম রাজনীতি।