বাঁকুড়া:  এবিপি আনন্দের খবরের জের। বাঁকুড়ার কোতুলপুরের স্কুলে ভুতের গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার ওঝা দম্পতি।
যাঁদের ছড়ানো গুজবে এতদিন ভূতের ভয়ে সিঁটিয়ে ছিল গোটা স্কুল, তাঁরাই না কি এখন জানেন না স্কুলে ভূতের ডেরা আছে কি না! গুজব ছড়ানোর অভিযোগে গ্রেফতার ওঝা দম্পতি।
কিন্তু এই অশরীরী আতঙ্কের উৎস কী? এবিপি আনন্দর তত্ত্বতালাশে উঠে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য! বেশ কয়েকদিন ধরেই অশরীরী আতঙ্কে সিঁটিয়ে ছিল বাঁকুড়ার কোতুলপুরের মির্জাপুর হাইস্কুলের পড়ুয়ারা। শৌচাগারে ঢুকলেই নাকি দেখা মিলছিল ছায়ামূর্তির। কয়েকদিন আগে স্কুলের শৌচাগার থেকে বেরিয়ে প্রথম অসুস্থ হয়ে পড়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী শম্পা কুণ্ডু।
কোতুলপুরের মির্জাপুর হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক বলেন, ক’দিন আগে ক্লাস টেনের এক ছাত্রী, সিক্সথ পিরিডয় চলছিল। বাথরুম থেকে বেরিয়ে অসুস্থ বোধ। ইসিজি রিপোর্টে কিছু নেই। ডাক্তার তারপর ছেড়ে দিল।
স্কুল থেকে বাড়ি ফিরে ফের অসুস্থ বোধ করায় ছাত্রীকে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় ওঝা দম্পতি শিখা বাগ ও শীতল বাগের কাছে! তাঁরাই নিদান দেন, স্কুলের শৌচাগারে ঘুরে বেড়াচ্ছে আত্মহত্যা করা এক ছাত্রের অশরীরী আত্মা! এরপরই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে গোটা স্কুলে।
অশরীরী আতঙ্কের গোটাটাই গুজব! এবিপি আনন্দের অন্তর্তদন্তে স্পষ্ট হয়ে যাওয়ার পর ওঝা দম্পতি শিখা বাগ ও শীতল বাগের নামে থানায় অভিযোগ দায়ের করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। মঙ্গলবার সকালে গ্রাম থেকেই গ্রেফতার করা হয় দু’জনকে। গ্রেফতারির পরই ভোলবদল! স্কুলে কি আর ভূত আছে? উত্তরে ওঝা বলে-আমি বলতে পারব না।