কলকাতা: বিধায়ক পদে ইস্তফা দেওয়ার পরই রাজ্যপালকে বিস্ফোরক চিঠি লিখলেন শুভেন্দু অধিকারী। দাবি, মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে তাঁকে। চিঠিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপও চেয়েছেন শুভেন্দু।
সূত্রের খবর, রাজ্যপালকে লেখা চিঠিতে শুভেন্দু বলেন, ‘তাঁকে মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা হচ্ছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চরিতার্থ করার চেষ্টা হচ্ছে।’
শুভেন্দু বলেন, ‘আমার ঘনিষ্ঠদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা হচ্ছে। পুলিশ-প্রশাসন রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক আচরণ করছে।’
এই প্রেক্ষিতে রাজ্যপালের হস্তক্ষেপ অনুরোধ করেন শুভেন্দু। লেখেন, ‘সাংবিধানিক প্রধান হিসেবে আপনার হস্তক্ষেপ চাইছি। যাতে আমার ও আমারর অনুগামীদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ফৌজদারি মামলা রুজু থেকে পুলিশ-প্রশাসনকে নিরস্ত করা সম্ভব হয়।
তিনি যোগ করেন, ‘জনস্বার্থেই আমি মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছি। অবস্থান বদলাতেই আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র শুরু।’
বিধায়ক পদ থেকে শুভেন্দু অধিকারীর ইস্তফা ঘিরে উথালপাথাল বঙ্গ রাজনীতি। বুধবার বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দিলেন শুভেন্দু অধিকারী। বিকেল ৪টে নাগাদ শুভেন্দু বিধানসভায় পৌঁছন। বিধানসভার রিসিভিং সেকশনে গিয়ে ইস্তফাপত্র জমা দেন।
যদিও বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আমি বিধানসভায় ছিলাম না। শুনেছি, উনি পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। আমি বিধানসভায় গিয়ে ওনার পদত্যাগপত্র খতিয়ে দেখব। তারপর আইনানুগ যা ব্যবস্থা নেওয়ার নেব।
বিধানসভার কার্যপ্রণালী ও পরিচালন নিয়মাবলীতে ইস্তফাপত্রের যে ফরম্যাট দেওয়া আছে, তাতে বলা হয়েছে, কত তারিখ থেকে ইস্তফা কার্যকরী হবে, তার উল্লেখ করতে হবে!
কিন্তু, শুভেন্দু অধিকারীর জমা দেওয়া ইস্তফাপত্রে কবে থেকে কার্যকরী হবে সেই তারিখের উল্লেখ নেই।
শুভেন্দুর এই পদক্ষেপ প্রত্যাশিত হলেও, বিধানসভা ভোটের আগে তা যে তৃণমূলের কাছে নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা, তা নিয়ে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের কোনও সন্দেহ নেই।
যদিও, প্রকাশ্যে একে গুরুত্ব দিতে নারাজ শাসক দল। শুভেন্দুকে কার্যত পদের লোভী আখ্যা দিয়েছে তারা। অন্যদিকে, শুভেন্দুর ইস্তফায় প্রত্যাশিতভাবেই উৎসাহিত বিজেপি।