তমলুক (পূর্ব মেদিনীপুর): তমলুকের সভা থেকে ফের একবার তৃণমূল ও তৃণমূলনেত্রীকে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী।


আজ নন্দীগ্রামে সভা করার কথা ছিল তৃণমূলনেত্রীর। কিন্তু, করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি অখিল গিরি। সেইজন্য ওই সভা পিছিয়ে দেওয়া হয়। এদিন তমলুকে সেই বিষয়টিকে হাতিয়ার করে মমতাকে বিঁধেছেন শুভেন্দু। বলেন, ‘এক নেত্রী বলেছিলেন মহাসমাবেশে আসব, এখন পগারপার।’


এখানেই নয়। কেন্দ্রের প্রকল্পকে সায় দেওয়া নিয়েও মমতাকে নিশানা করেছেন বিজেপি নেতা। বলেন, ‘এখন বলছে প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি প্রকল্প চালু করলাম। ঠেলায় পড়লে বিড়ালও গাছে ওঠে।’


এদিন ফের একবার শুভেন্দু মনে করিয়ে দেন, তিনি লড়াই করে এই জায়গায় এসেছেন। বলেন, ‘লিফটে উঠিনি, প্যারাশুটেও চড়িনি, এরপর অনেকে বড় বড় কথা বলছেন। অর্জুনের ছেলের কাছে ভোটে হেরেছেন, আবার বড় বড় কথা।’


শুভেন্দু বলেন, ‘২৭ নভেম্বর মন্ত্রিসভা থেকে পদত্যাগ করেছি। ১৬ ডিসেম্বর বিধায়ক পদ থেকে পদত্যাগ করেছি। ১৭ ডিসেম্বর তৃণমূলের প্রাথমিক সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেছি।


বিজেপিতে যোগ দেওয়া নিয়ে শুভেন্দুকে ক্রমাগত আক্রমণ করেছে তৃণমূল। এর উত্তরে শুভেন্দু মনে করিয়ে দেন, ভোটার হিসেবে তাঁর অধিকার আছে যে কোনও কোনও রাজনৈতিক দলের সদস্যপদ চাওয়ার।


তিনি বলেন, ‘৭ জানুয়ারি আমার জীবনে রাজনৈতিক সংগ্রামের দিন। কৃষিজমি রক্ষা করতে গিয়ে ২০০৭ সালে ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে অনেক শহিদ হন।


এদিন নেতাইয়ে শুভেন্দুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মদন মিত্র। বলেন, শুভেন্দুর নরকেও জায়গা হবে না। মায়ের দুধ খেয়ে থাকলে, যদি বাপের ব্যাটা হয়, তৃণমূলকে দেখে নে..।’ তমলুকের সভায় এর উত্তরে শুভেন্দু বলেন, ‘নেতাইদের শহিদ বেদিতে মালা দিয়েছি। যাঁরা এতদিন মালা দিতে আসেননি, তাঁদের পাঠিয়েছে তৃণমূল। লালগড়ে একজন নেশাগ্রস্ত অবস্থায় থাকে, তাঁকে পাঠিয়েছেন ভাইপো-কোম্পানি।’


শুভেন্দুর অভিযোগ, মোদির প্রকল্পগুলির সব নাম পরিবর্তন করেছে রাজ্য। বলেন, ‘তৃণমূল এখন কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। যাঁরা ক্রীতদাস তাঁরা থাকবেন, যাঁদের আত্মসম্মান আছে তাঁরা থাকবেন না। দক্ষিণ কলকাতার নেতারা সব মন্ত্রী, অথচ বঞ্চিত জেলার নেতারা।’


নাম না করে অভিষেককেও নিশানা করেন শুভেন্দু। বলেন, ‘তোলাবাজ ভাইপোর সঙ্গে গরুপাচারকাণ্ডে অভিযুক্ত বিনয় মিশ্রর সঙ্গে সম্পর্ক কী? বাংলার মানুষ জানতে চায়।’


তাঁর কটাক্ষ, ‘বঙ্গধ্বনির পর হরিধ্বনি হবে। ট্যাবের জন্য টাকা দিচ্ছে, এটা উপঢৌকন নিয়ে নিন। সাইকেল থেকেও ৪০০ টাকা করে কাটমানি।


তিনি যোগ করেন, বাংলায় বেকারদের সর্বনাশ করে দিয়েছে, এদেরকে তাড়ান। লোকসভা নির্বাচনে ১২০ আসনে লিড বিজেপির, ২০০ আসন পার করুন।