সুদীপ চক্রবর্তী, চোপড়া: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মতো উত্তর দিনাজপুরেও ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগ উঠেছে। এবার সেখানে এই অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গেলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। আজ তাঁরা চোপড়া ব্লকে গিয়ে সেখানকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন।


রাজনৈতিক হিংসা আর হানাহানিতে উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়া ব্লক সর্বদাই উত্তপ্ত। বিশেষ করে বিধানসভা নির্বাচনের পর রাজনৈতিক হিংসার ঘটনায় আরও উত্তপ্ত হয়ে ওঠে চোপড়া ব্লকের বেশ কয়েকটি গ্রাম। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অভিযোগের তির রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আক্রান্ত বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা। জেলা বিজেপি থেকে শুরু করে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব একাধিকবার ভোট পরবর্তী হিংসার অভিযোগে সরব হয়েছেন। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকেও তৃণমূলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিজেপির রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বিজেপি নেতৃত্ব আক্রান্ত পরিবারগুলির সঙ্গে দেখা করে যাওয়ার পর এবার চোপড়ায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা খতিয়ে দেখতে এলেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্যরা। আজ চোপড়ার ঘিরনিগাঁও গ্রাম পঞ্চায়েতের গুয়াবাড়ি গ্রামে কুলবীর সিংহের নেতৃত্বে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে যায়।


কিছুদিন আগেই চোপড়া ব্লকের মাঝিয়ালি পঞ্চায়েতের বিভিন্ন জায়গায় তৃণমূল কংগ্রেসকে নিশানা করে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কামতাপুর লিবারেশন অর্গানাইজেশনের নামে পোস্টার দেখা যায়। এই পোস্টারে রাজবংশীদের উপর অত্যাচার বন্ধের দাবি জানিয়ে শাসক দলের উদ্দেশে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। কেএলও-র নামে পোস্টার পড়লেও এর পিছনে বিজেপির চক্রান্ত দেখছে তৃণমূল। 


অন্যদিকে, উত্তর দিনাজপুরের হেমতাবাদ পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির অপসারণ চেয়ে জেলা নেতৃত্বকে চিঠি দিলেন ১৩ জন সদস্য। অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে অপসারণ দাবি করা হয়েছে, দাবি ওই সদস্যদের। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শেখর রায় জানিয়েছেন, কী কারণে তাঁকে অপসারণের দাবি উঠেছে, তা জানতে চেয়েছেন জেলা সভাপতি কানাইয়ালাল আগরওয়ালের কাছে। তৃণমূল জেলা নেতৃত্ব জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে দলের ঊর্ধ্বতন নেতৃত্ব।