নদিয়া: প্রবল প্রসব যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিলেন মহিলা। সেই সময় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা তো দূর অস্ত, প্রসূতিকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে হাসপাতালের এক পুরুষ কর্মীর বিরুদ্ধে। অভিযোগ, প্রসূতির মুখ বন্ধ করতে তাঁর মোবাইল ফোনও কেড়ে নেওয়া হয়।


প্রসূতির পরিবারের অভিযোগ, ১৪ জানুয়ারি মহিলাকে কল্যাণীর জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু ভর্তির পর থেকেই শুরু হয় নির্যাতন।


নির্যাতিতার স্বামী বলেন, ১৪ জানুয়ারি ভর্তি করা হয়। ব্যথা উঠলে এক পুরুষ স্টাফ মারধর করে, ফোন কেড়ে নেয়। আমরা কল্যাণী থানায় অভিযোগ করেছি।


প্রসূতিকে মারধরের ঘটনা প্রকাশ্যে আসার পরই সক্রিয় হয় বিজেপি মহিলা মোর্চা। রাজ্য কমিটির সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পালের নেতৃত্বে কল্যাণী থানার সামনে প্রায় ঘণ্টা তিনেক বিক্ষোভ দেখানো হয়।


বিজেপি মহিলা মোর্চা সভানেত্রী অগ্নিমিত্রা পাল বলেন, রাজ্যে মহিলাদের উপর নির্যাতন চলছে। পুলিশ নির্বিকার। প্রসূতি হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর কর্তৃপক্ষের তরফে সহানুভূতি না জানিয়ে চড় থাপ্পড় মারা হয়। বাধ্য হয়ে আমরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছি। জাতি-ধর্ম না দেখিনি।


ঘটনার নিন্দা করে বিজেপির বিরুদ্ধে রাজনীতির করার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। নদিয়া দক্ষিণ তৃণমূল কংগ্রেসের যুব সহ সভাপতি বান্টি নন্দী বলেন, বিজেপি সব কিছু নিয়েই রাজনীতি করে, এটা নিয়েও করছে। তবে ঘটনাটি নিন্দনীয়। প্রশাসনকে জানানো হয়েছে, ওরাই যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।


জেএনএম হাসপাতালের সুপার অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়ের আশ্বাস, সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বলেন, আমার কাছে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। তবে বিষয়টি শুনেছি। অভিযোগ পেলে খতিয়ে দেখব।


পরিবার সূত্রে খবর, কল্যাণী হাসপাতাল থেকে অন্য বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানেই সন্তান প্রসব করেন প্রসূতি।