পুলিশের সামনেই লাঠি দিয়ে চলছে বেধড়ক মারধর।বাঁকুড়ার বিষ্ণুপুরে তৃণমূল কর্মীদের ঘরে ফিরতে, এভাবেই বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। গন্ডগোলের ভাইরাল ভিডিও ছড়িয়ে পড়তেই সরগরম রাজনীতি। প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখালেন ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মীরা।
গতবছরের পয়লা অগাস্ট, উলিয়াড়া গ্রামে খুন হন তৃণমূলের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান বাবর আলি। অভিযোগ ওঠে, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের কারণেই খুন হন তিনি। সেই ঘটনায় গ্রেফতার করা করা হয় পঞ্চায়েত প্রধান তাসমিনা খাতুনের স্বামী রহিম মণ্ডল সহ ১০ জন তৃণমূল কর্মীকে। ঘটনার পরই সপরিবারে ঘরছাড়া হন তাসমিনা। তাঁর সঙ্গে গ্রাম ছাড়তে হয় আরও প্রায় ১৫০ জন তৃণমূল কর্মীকে।
এদের প্রত্যেকের বাড়ি উলিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের বেলিয়ারা গ্রামে। শুক্রবার একটি বাসে করে ৭০-৮০ জন তৃণমূলকর্মীকে তাঁদের এলাকায় নিয়ে যায় পুলিশ। অভিযোগ, বাস থেকে নামা মাত্রই বিজেপির লোকজন তাঁদের উপর চড়াও হন। লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়।
প্রতিবাদে বিষ্ণুপুর থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মীরা।
ঘরছাড়া তৃণমূল কর্মী বদরুল আলম মণ্ডল বলেছেন, পুলিশ আমাদের বেলিয়াড়া মোড় পর্যন্ত নিয়ে যায়, সেখানে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা গালিগালাজ, মারধর করে, শিশু থেকে মহিলা কেউ বাদ যায়নি।
বিষ্ণুপুরের তৃণমূল বিধায়ক তুষারকান্তি ভট্টাচার্য বলেছেন, আমাদের কর্মীরা বাড়ি ফিরতে চাইলের বিজেপি মারধর করে, পুলিশকে ব্যবস্থা নিতে বলেছি।
উলিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৩টি আসনের মধ্যে প্রত্যেকটিই তৃণমূলের দখলে। তবে ২০১৯-এর লোকসভা ভোটে অন্য ছবি উঠে আসে। বিষ্ণুপুর লোকসভা কেন্দ্র বিজেপির দখলে আসার সঙ্গে সঙ্গে, ওই কেন্দ্রের অন্তর্গত উলিয়ারা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ২ হাজার ৫৪৪ ভোটেও এগিয়ে থাকে পদ্ম শিবির।
যদিও সদ্য তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানকারী প্রাক্তন বস্ত্রমন্ত্রীর দাবি, যে এলাকায় গন্ডগোল হয়েছে, সেখানে তাঁদের কোনও সংগঠনই নেই। যা হয়েছে, তৃণমূলের মধ্যেই হয়েছে।
ভাইরাল ভিডিওয়ে দেখা যাচ্ছে, পুলিশের সামনেই লাঠি হাতে চলছে মারপিট। এই নিয়ে বাঁকুড়ার পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।