কলকাতা: আগামী মঙ্গলবার পর্ষদের ওয়েবসাইটে কাউন্সেলিংয়ের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হবে। পর্ষদের তরফে এমনটাই জানা গিয়েছে। 


গত জানুয়ারি মাসে রাজ্যের তৃতীয় দফার টেট পরীক্ষা নেওয়া হয়েছিল। সেই সময় প্রায় আড়াই লক্ষ পরীক্ষার্থী পরীক্ষা দিয়েছিলেন। 


পর্ষদের তরফে জানানো হয়েছে, ‘মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণামত পুজোর আগে টেট পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে।‘ আরও বলা হয়েছে, ‘রেজাল্ট বার করার আগে প্রশ্নের উত্তর আগে ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হবে। তারপর টেট পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করা হবে।’


বলা হয়েছে, ‘পর্ষদের তরফে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তির ওপর ভরসা রাখুন। মেধার ভিত্তিতে যাঁরা উত্তীর্ণ হবেন, তাঁরাই নিয়োগপত্র পাবেন।’


গত সপ্তাহে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, পুজোর আগে উচ্চ প্রাথমিকে ১৪ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে। এই সময়ের মধ্যে প্রাথমিকে নিয়োগ হবে সাড়ে ১০ হাজার শিক্ষক। পুজোর পর থেকে আগামী বছরের মার্চ পর্যন্ত, প্রাথমিকে আরও সাড়ে ৭ হাজার শিক্ষক নিয়োগ করা হবে।


শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে এর আগে কলকাতা হাইকোর্টে বহু মামলা হয়েছে। দুর্নীতি, স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীদের একটা বড় অংশ। 


এই প্রেক্ষাপটেই এদিন তাৎ‍পর্যপূর্ণ মন্তব্য শোনা গেছে মুখ্যমন্ত্রীর গলায়। তিনি বলেন, মেধাই তাদের সবচেয়ে বড় পরিচয়। কোনও লবি করার প্রয়োজন নেই। কোর্ট কেস ছিল বলে এতদিন আটকে ছিল।


এদিকে, কর্মশিক্ষা ও শারীরশিক্ষা ছাড়া ২০১৬-র উচ্চ প্রাথমিকের শূন্যপদে ১৪ হাজার ৩৩৯ শিক্ষক নিয়োগের জন্য ইন্টারভিউয়ের তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে।


চলতি মাসের গোড়ায়, টেট নিয়ে বড় ঘোষণা করে কেন্দ্র সরকার। কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী রমেশ পোখরিয়াল নিশঙ্ক ট্যুইট করে জানান,   টেট-এর সার্টিফিকেটের মেয়াদ ৭ বছর থেকে বাড়িয়ে আজীবন করা হল। ২০১১ থেকে এর রেট্রোস্পেকটিভ সুবিধা পাবেন চাকরিপ্রার্থীরা।  


কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রীর দাবি, শিক্ষকতার ক্ষেত্রে কর্মসংস্থানের সুযোগ যাতে আরও বেশি মানুষ পান, তার জন্যই এই সিদ্ধান্ত। সেইসঙ্গে আর একটি ট্যুইটে তিনি জানিয়েছেন,  রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে এর জন্য নতুন করে সার্টিফিকেট ইস্যু করতে হবে। যাতে ইতিমধ্যে যাঁদের ৭ বছরের মেয়াদ পেরিয়ে গেছে, তাঁরা এর সুযোগ নিতে পারেন।