কলকাতা: লোকাল ট্রেন চালু করতে কী ভাবনা? রাজ্যকে চিঠি দিয়ে তা জানতে চাইল রেল। করোনা আবহে বিধি-নিষেধ বাড়িয়ে বন্ধ রাখা হয়েছিল লোকাল ট্রেন চলাচল। শধুমাত্র কয়েকটি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চলছিল। আর এই স্টাফ স্পেশ্যালেই বাড়ছে ভিড়। তাই লোকাল ট্রেন চালাতে চায় রেল। এবার ট্রেন চালানোর প্রয়োজনীয়তা জানিয়ে রেলের তরফে চিঠি দেওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারকে। 


করোনা আবহে স্টাফ স্পেশ্যালে ভিড় কমানো প্রয়োজন, এ দিন রাজ্য সরকারকে চিঠি দিয়ে সে কথাই জানিয়েছে পূর্ব রেল। উল্লেখ্য বিধি-নিষেধের দ্বিতীয় পর্ব শেষ হচ্ছে আগামী ১৫ জুন। আর তাই এই মাসেই লোকাল ট্রেন চালাতে উদ্যোগী রেল। সূত্রের খবর, অনুমতি চাইতে পূর্ব এবং দক্ষিণ-পূর্ব রেল উভয়েই রাজ্যকে চিঠি দিয়েছে। 


আপাতত হাওড়া- শিয়ালদহের সবকটি শাখায় সব মিলে ৩৪২টি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেন চলছে। শুধুমাত্র রেল কর্মীদেরই এই ট্রেনগুলিতে ওঠার অনুমতি রয়েছে। তাহলে কেন ভিড় হচ্ছে স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে? রেলের দাবি, রাজ্য সরকারে একাধিক বিভাগের কর্মীদের এই স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে ওঠার ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। ভিড় বাড়াচ্ছেন নিত্যযাত্রীরাও। এ নিয়ে রোজই রেলকর্মীদের সঙ্গে বসচায় জড়িয়ে পড়ছেন সাধারণ যাত্রীরা। পাশাপাশি ভিড় অতিরিক্ত বেড়ে যাচ্ছে ট্রেনে। ফলে করোনা বিধিও শিকেয় উঠছে।  


শুধু ট্রেনই নয়। বাস চলাচলের কথাও ভাবা হচ্ছে। এবার সরকারি বাসগুলিকে স্যানিটাইজ করে প্রস্তুত রাখার নির্দেশ দিল রাজ্য। পরিবহণ নিগমগুলিকে আপাতত মৌখিক নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। আগামী বুধবার অফিসে সরকারি পরিবহণ কর্মীদের হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামিকাল রাজ্যের পরিবহণ পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেই সূত্রের খবর।


প্রসঙ্গত, গত মে-তে রাজ্যজুড়ে চালু হয়েছে কার্যত লকডাউন। করোনার বিধি- নিষেধ আরও কড়াকড়ি করা হয়েছে সেই থেকেই। তার আগেই রাজ্য সরকার সমস্ত লোকাল ট্রেন বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছিল। এদিন পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পশ্চিমবঙ্গে সমস্ত লোকাল, শহরতলি ও ইএসইউ ট্রেন পরিষেবা পরবর্তী পরামর্শ পর্যন্ত বন্ধই থাকবে। অন্যান্য স্পেশ্যাল ট্রেন, মেল ও এক্সপ্রেস স্পেশ্যাল ট্রেন, পার্সেল ট্রেন ও পণ্যবাহী ট্রেন পরিষেবা নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী চলবে।