রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: সাত সকালে পথে দুর্ঘটনার কবলে পড়ল মোটর বাইক। বহরমপুর থানার চুয়াপুরের কাছে ৩৪ নং জাতীয় সড়কের ঘটনা। সেখানে এক মোটর বাইকের সঙ্গে ট্রাকের ধাক্কা লাগে। ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। 


আজ, মঙ্গলবার ভোরবেলায় বহরমপুরের মনীন্দ্র নগর থেকে বেলডাঙা হাটের উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন তিনজন। তাঁরা প্রত্যেকেই ব্যবসার কাপড় জামা কেনা জন্য রওনা দিয়েছিলেন বলে খবর। তখনই দুর্ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে পুলিশ সূত্রে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। 


সম্প্রতি একাধিক পথ দুর্ঘটনার খবর এসেছে সামনে। গত রবিবারই পশ্চিম মেদিনীপুরের খড়গপুরে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে এক উড়ালপুলের গার্ডওয়ালে ধাক্কা লাগে বাইকের। তৎক্ষণাৎ ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বাইক চালকের। রবিবার রাত ১০টা নাগাদ খড়গপুর টাউন থানা এলাকার পুরীগেট উড়ালপুলে এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনাটি ঘটে। বাইকে চড়ে বাড়ি ফিরছিলেন দুই যুবক। দুর্ঘটনার ফলে সেখানেই মৃত্যু হয় একজনের। অপর বাইক আরোহীকে মেদিবীপুর কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক ছিল।


এছাড়া মুর্শিদাবাদের নবগ্রামে কিছুদিন আগে আরও এক মর্মান্তিক পথ দুর্ঘটনা ঘটে। নবগ্রাম থানার কাছে ৩৪ নং জাতীয় সড়কের উপরেই পুনিয়ায় গাড়ি ধরার জন্য অপেক্ষা করছিলেন যাত্রীরা। একটি ছোট গাড়ি এলে তাতে ওঠার সময় হঠাৎই পিছন থেকে আসা একটি ট্রাক সজোরে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় গাড়ির চালকসহ চার ব্যক্তির।


একের পর এক পথ দুর্ঘটনা এবং তাতে সাধারণ মানুষের মৃত্যু। স্বভাবতই চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। আগেই স্থানীয়রা অভিযোগ করেছিলেন যে জাতীয় সড়কে ট্রাক, ডাম্পারের মতো গাড়ির বেপরোয়া গতিতে চলে। তার ফলেই একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে চলেছে। স্থানীয় প্রশাসন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে যথেষ্ট ইতিবাচক ভূমিকা পালন করছে না বলেও অভিযোগ করেন তাঁরা। 


কয়েকদিন আগেই দক্ষিণ ২৪ পরগণায় এক ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় একসঙ্গে ৮ জনের মৃত্যু হয়েছিল। গোটা রাজ্যজুড়েই পথ দুর্ঘটনার বলির সংখ্যা এই করোনা বিধিনিষেধের কালেও যথেষ্ট।