জঙ্গিপুর: বিরোধীর ঘরে ভাঙন অব্যাহত। আর সেই ভাঙনের সুযোগ নিয়েই আরেক পুরসভা দখল করল তৃণমূল। কংগ্রেস পরিচালিত কালিয়াগঞ্জ পুরসভার পর এবার বামেদের হাত থেকে জঙ্গিপুর পুরসভাও ছিনিয়ে নিল তৃণমূল। আজ তৃণমূলে যোগ দেন জঙ্গিপুর পুরসভার চেয়ারম্যান সহ বারোজন কাউন্সিলর। শাসক দলের বিরুদ্ধে দখলদারির রাজনীতির অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা।


জঙ্গিপুর পুরসভা দীর্ঘদিন ধরে বামেদের দখলে ছিল। এতদিন এখানে তৃণমূলের কোনও কাউন্সিলরই ছিল না। ২১ আসনের পুরসভায় বামেদের ১৪ জন, কংগ্রেসের ৫ জন, বিজেপির ১ জন এবং এসইউসিআইয়ের ১ জন কাউন্সিলর ছিলেন। কিন্তু, চেয়ারম্যান সহ বারোজন বিরোধী কাউন্সিলরকে দলে টেনে একেবারে বোর্ডই দখল করে নিল তৃণমূল। বাম-কংগ্রেস-বিজেপি তিন বিরোধীর ঘরেই একসঙ্গে ভাঙন ধরিয়েছে তারা।

শনিবার বামেদের ৭ জন, কংগ্রেসের ৪ জন এবং বিজেপির এক জন কাউন্সিলর তৃণমূলে যোগ দেন। ফলে এখন সংখ্যার হিসেবে জঙ্গিপুর পুরসভায় তৃণমূলের কাউন্সিলর সংখ্যা দাঁড়াল ১২ জন। বামেদের ৭ জন, কংগ্রেসের একজন এবং এসইউসিআইয়ের একজন।

এছাড়া মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের তিন সদস্যও এদিন তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন।

বিরোধীদের পাল্টা অভিযোগ, তৃণমূল দখলদারির রাজনীতি করছে।

পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, জঙ্গিপুর পুরসভা হাতছাড়া হওয়া বাম-কংগ্রেসের কাছে যেমন ধাক্কা, তেমন এই পুরসভা হাতে আসাটা তৃণমূলের কাছে যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৬-র বিধানসভার আগে পর্যন্ত অধীর চৌধুরীর গড় মুর্শিদাবাদে তৃণমূলের কোনও বিধায়ক ছিল না। এবার সেই জেলাতেই তৃণমূল চারটি আসনে জিতেছে।

২১ জুলাইয়ের সভায় কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে নাম লিখিয়েছেন খোদ প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির শ্যালক তথা মুর্শিদাবাদ কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অরিত মজুমদার। এবার জঙ্গিপুর পুরসভাও চলে এল শাসকের দখলে।