কলকাতা:  তৃণমূলের সর্বভারতীয় স্তরে গুরুত্ব বাড়ছে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হচ্ছেন অভিষেক। সেক্ষেত্রে, তিনি আর যুব তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি থাকছেন না। অভিষেকের জায়গায় যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী হচ্ছেন সায়নী ঘোষ।


ল্যান্ডস্লাইড ভিকট্রি নিয়ে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় এসেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুইল চেয়ারে বসেই দলকে নবান্নে পৌঁছে দিয়েছেন তিনি। বিধানসভা ভোটে বিপুল সাফল্যের পর শনিবার দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক বসছেন তৃণমূলে শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা।


এদিন দলের জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, শ্রমিক-কৃষক-মহিলা সংগঠনের একাধিক পদে রদবদল করা হয়েছে। শ্রমিক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হচ্ছেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূলের সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনের সভানেত্রী হচ্ছেন দোলা সেন।


সর্বভারতীয় মহিলা সংগঠনের সভানেত্রী হচ্ছেন কাকলি ঘোষ দস্তিদার। কৃষক সংগঠনের রাজ্য সভাপতি হতে চলেছেন পূর্ণেন্দু বসু। রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক হলেন কুণাল ঘোষ। 


পাশাপাশি, বঙ্গ জননী বাহিনীর দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে মালা রায়কে। তৃণমূলের কালচারাল সেলের প্রধান হচ্ছেন রাজ চক্রবর্তী। 


বৈঠকের পর পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘তৃণমূলে এক ব্যক্তি এক পদ নীতি কার্যকর হয়েছে। বাংলার বাইরেও সংগঠন শক্তিশালী করার লক্ষ্যে কাজ করবে তৃণমূল। বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল কংগ্রেসের বিস্তারের লক্ষ্যে কাজ করবেন সাংসদরা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃঢ় নেতৃত্বকে কুর্নিশ জানিয়েছে দল।’


এছাড়া, ৮টি জেলার রাজ্য সভাপতির রদবদল ঘটেছে বলে সূত্রের খবর। বিপুল জয়ের পর আজ দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে ছিলেন তৃণমূলে শীর্ষ নেতা-নেত্রীরা। দুপুরে তৃণমূলের ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক হয়। 


এরপর মন্ত্রী, সাংসদ, বিধায়ক, পুর প্রশাসক এবং শাখা সংগঠনের প্রধানদের নিয়ে হয় কোর-কমিটির বৈঠক। একটি বৈঠক হয় সরাসরি, আর একটি বৈঠক হয় ভার্চুয়ালি। দলত্যাগীদের তৃণমূলে ফেরা প্রসঙ্গেও হয়েছে আলোচনা। 


ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে দলের নেতাদের কড়া বার্তা দেন নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় নেতৃত্বকে ভাবমূর্তি উজ্জ্বল রাখতে কড়া বার্তা দেন। মমতা বলেন, ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে হবে। গরু-কয়লা কেলেঙ্কারিতে যেন কেউ না জড়িয়ে পড়েন। কথায় কথায় লালবাতি লাগানো গাড়ি ব্যবহার নয়।’