কলকাতা: আজ ভাইফোঁটা৷ ভাই-বোনের বন্ধন উদযাপনের বার্ষিক পার্বণ। ভাইদের কপালে ফোঁটা দিয়ে দীর্ঘায়ু প্রার্থনার দিন৷ গতকাল প্রতিপদে অনেকেই ফোঁটা দিয়েছেন। আজ দ্বিতীয়াতেও ফোঁটা দেওয়ার ব্যস্ততা তুঙ্গে। বাড়ি বাড়ি রকমারি খাবারের আয়োজন৷ পছন্দসই মিষ্টি ভাইয়ের পাতে তুলে দিতে সকাল থেকেই মিষ্টির দোকানে লম্বা লাইন৷ ভাইয়েরাও নতুন পোশাক পরে বোনেদের জন্য উপহার নিয়ে ফোঁটা নিতে প্রস্তুত৷


“ভাইয়ের কপালে দিলাম ফোঁটা/ যমের দুয়ারে পড়ল কাঁটা/ যমুনা দেয় যমকে ফোঁটা/ আমি দিই আমার ভাইকে ফোঁটা।’’ এই ছড়ার সঙ্গে সবাই পরিচিত। ভাইদের মঙ্গল কামনায় ভাইফোঁটায় ছড়া কাটে বোনেরা। ভাইবোনের পারস্পরিক সম্পর্কের ভালোবাসা, স্নেহের বন্ধন উদযাপনের উৎসব হল ভাইফোঁটা (Bhaiphonta)।


কার্তিক মাসের শুক্লাদ্বিতীয়া তিথিতে অনুষ্ঠিত হয় ভ্রাতৃদ্বিতীয়া বা ভাইফোঁটা। এই শুভ দিনে বোনেরা ভাইয়ের কপালে দই, চন্দনের ফোঁটা দেয়।  ভাইয়ের দীর্ঘায়ু, সুস্বাস্থ্য ও সাফল্যের জন্য প্রার্থনা করে। বছরভর খুনসুটি যতই থাক না কেন, ভাইদের শুভ কামনার জন্য এই বিশেষ দিনে নানা আয়োজন করে থাকে। আর সারাজীবন আগলে রাখার ও রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দেয় ভাইরা। দিদি বা বোন ভাই বা দাদাকে ফোঁটা দেয়। আর তারপর দিদি ধান-দূর্বা দিয়ে ভাইকে আশীর্বাদ করে বা দাদা ধান-দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করে। আর সেই সঙ্গে রয়েছে একে অপরের শুভকামনায় উপহার দেওয়ার প্রচলন।



এ বছর ভাইফোঁটার তারিখ
১৯ কার্তিক, (শনিবার), ৬ নভেম্বর



দ্বিতীয়ার  সময়



দ্বিতীয়া শুরু- ৫ নভেম্বর রাত ১১টা ১৮ মিনিটে।



দ্বিতীয়া শেষ- ৬ নভেম্বর সন্ধ্যা ৭টা ৪৪ মিনিটে।



ভাইফোঁটার  সময়



দুপুর  ১টা বেজে ১০ মিনিট থেকে ৩টে বেজে ২১ মিনিট পর্যন্ত


পুরাণ অনুযায়ী, যম এই দিনেই তার বোন যমুনার থেকে ভাইফোঁটা নিয়েছিলেন। আবার আরেক মত অনুযায়ী, নরকাসুরকে বধ করে কৃষ্ণ সুভদ্রার কাছে যান। বোন সুভদ্রা কপালে ফোঁটা দেন। মনে করা হয় তার থেকেই এই ভাইফোঁটা শুরু হয়।