নবদ্বীপ: উচ্চশিক্ষার ইচ্ছাপূরণ করতে চাওয়ায় শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অত্যাচার সহ্য করতে হয়। বাপের বাড়িতে ফিরে আসার পরেও রেহাই মেলেনি। অভিযোগ, দলবল নিয়ে গিয়ে সেখানেও হামলা চালায় স্বামী। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে বিয়ের ছবি পোস্ট করে স্বামী। অপমান সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করেছেন তরুণী। স্বামীর বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগে মামলা দায়ের হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
মৃতার নাম মৌমিতা সাহা, বাড়ি নদিয়ার প্রাচীন মায়াপুরে। ইংরেজি অনার্স নিয়ে পড়তেন নবদ্বীপ বিদ্যাসাগর কলেজে।ভালবেসে বিয়ে করেছিলেন নবদ্বীপের পোড়াঘাট এলাকার যুবক সঞ্জয় সাহাকে। তা মেনেও নিয়েছিল দুই পরিবার। কিন্তু, মৌমিতার পরিবারের অভিযোগ, আরও পড়তে চাওয়ায় তাঁর উপর অত্যাচার চালাত শ্বশুর বাড়ির লোকেরা। সহ্য করতে না পেরে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন মৌমিতা। কিন্তু অভিযোগ, এরপর দলবল নিয়ে গিয়ে সেখানে গিয়ে ভাঙচুর চালায় সঞ্জয় সাহা। এমনকী তাঁদের বদনামের হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ।
পরিবারের দাবি, এরপর পুরনো সবকিছু ভুলে নতুন করে জীবন শুরু করতে চেয়েছিলেন মৌমিতা। কিন্তু, তাতে বাধা হয়ে দাঁড়ায় সঞ্জয়। সোশ্যাল সাইটে মৌমিতার নামে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে তাঁর বিয়ের বেশ কিছু ছবি পোস্ট করেন বলে অভিযোগ। সেই সমস্ত ছবি সোশ্যাল সাইটে পোস্ট করায় তা নতুন জীবন শুরুতে বাধা হয়ে দাঁড়াবে বলে মনে করেছিলেন এই তরুণী। অবসাদে মৌমিতা আত্মহত্যা করেন বলে দাবি পরিবারের।
ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে নবদ্বীপ থানার পুলিশ। সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।