জয়দীপ হালদার, কাকদ্বীপ: সরকারি নির্দেশ উপেক্ষা করে সাগর থেকে ছোট ইলিশ ধরার অভিযোগ ট্রলার মালিকদের বিরুদ্ধে। মৎস দফতরের অভিযানে কাকদ্বীপে উদ্ধার হাজার কেজিরও বেশি ছোট ইলিশ। আটক কয়েকজন ম্যাটাডোর চালক। ছোট ইলিশের বেআইনি কারবার রুখতে বাড়ানো হবে নজরদারি, জানিয়েছে মৎস দফতর।


ঠিক একমাস আগে বঙ্গে বর্ষার আগমন হয়েছে। বর্ষা মানেই বাঙালির পাতে ইলিশের রকমারি পদ। রুপোলি শস্যের জন্য বছরভর অপেক্ষা করে থাকে বাঙালি। কিন্তু এবার জোগান কম থাকায় ভরা মরশুমেও চড়া দাম বড় ইলিশের। দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাতে দেদার বিকোচ্ছে খোকা ইলিশ। যদিও ছোট ইলিশ ধরায় রয়েছে আইনের কড়াকড়ি। সরকারি নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। অভিযোগ, নিষেধাজ্ঞাকে কার্যত উড়িয়ে দিচ্ছেন একাংশ। নিয়মের ফাঁক গলে রমরমিয়ে চলছে ছোট ইলিশের বিক্রি। এই বেআইনি বিক্রি রুখতে তত্পর হয়েছে মত্স্য দফতর। গতকাল, শনিবার থেকে সুন্দরবনজুড়ে শুরু হয়েছে অভিযান। আর এই অভিযান চালিয়ে আজ, রবিবার কাকদ্বীপ থেকে বেশ কয়েকটি ম্যাটাডোর আটক করা হয়।


সূত্রের খবর, বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে হাজার কেজিরও বেশি ছোট ইলিশ। সরকারি নিয়ম অনুযায়ী, ৫০০ গ্রামের কম ওজনের খোকা ইলিশ ধরা নিষিদ্ধ। এভাবে জল থেকে ছোট মাছ তুলে আনায় ইলিশের সংসারে ঘোর সঙ্কট আসতে চলেছে বলে বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা। তাই অবিলম্বে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আবেদন জানিয়েছে মত্স্যজীবীদের সংগঠন। কাকদ্বীপ ফিশারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি বলেন, বেআইনিভাবে ছোট ইলিশ ধরে আনছে। এভাবে চলতে থাকলে ইলিশের প্রজন্ম শেষ হয়ে যাবে। প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিক।


ডায়মন্ড হারবার সহ মত্স্য অধিকর্তা জয়ন্ত প্রধান বলেন, প্রশাসন আইনানুগ ব্যবস্থা নেবে। প্রয়োজনে উপকূলরক্ষী বাহিনীর সাহায্য নেওয়া হবে। এই অভিযোগ সামনে আসতেই তৎপর হয়েছে মৎস্য দফতর।  মত্স্য দফতর সূত্রে খবর, ছোট ইলিশ বিক্রি বন্ধে সচেতনতা গড়ে তুলতে, প্রচার চালানো হবে। কাজ না হলে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।