সুনীত হালদার, জগাছা: এবার হাওড়ার জগাছায় ভুয়ো সিবিআই অফিসার পরিচয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ উঠল। অভিযুক্তের নাম শুভদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
পরিবারের দাবি, বি টেক পড়ার সময় শুভদীপ বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পান। সম্প্রতি সরকারি চাকরির প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
অভিযোগ, সিবিআই অফিসার পরিচয়ে নকল পরিচয়পত্র বানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অনলাইন ইন্টারভিউ নিতেন শুভদীপ। এরপর ভুয়ো নিয়োগপত্রও দেওয়া হতো বলে অভিযোগ।
২০২০ সালের জুলাইতে বিয়ে হয় শুভদীপের। চলতি বছরের মার্চে বিবাহ বিচ্ছেদ হয়ে যায়। মার্চেই জগাছা থানায় অভিযোগ দায়ের করেন শুভদীপের প্রাক্তন স্ত্রী। এরপরই জানাজানি হয় প্রতারণার বিষয়টি।
বর্তমানে দিল্লিতে রয়েছেন বলে দাবি করে অভিযুক্তের দাবি, আন্তঃরাজ্য প্রতারণা-চক্রের সঙ্গে যুক্ত বিহারের বাসিন্দা লালন নামে এক যুবকই তাঁকে এই চক্রে টেনে আনেন।
এদিকে, সিবিআই-এর কৌঁসুলি বলে পরিচয় দেওয়া প্রতারক সনাতন রায়চৌধুরীর বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে একের পর এক চাঞ্চল্যকর উদঘাটন করছে পুলিশ।
শনিবার সনাতনের বিরুদ্ধে ভুয়ো মানাবধিকার সংগঠন ও তাতে বাংলাদেশ-যোগের বিষয়টি সামনে আসে। অভিযোগ, মানবাধিকার সংস্থার নামে হুগলির উত্তরপাড়ায় একটি সংস্থা খোলেন সনাতন। স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার নামে সদস্য হওয়ার প্রস্তাব দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা অনুদান তোলা হয়।
উত্তরপাড়ার বাসিন্দা অভিযোগকারী প্রাক্তন শিক্ষক ও সমাজকর্মীর দাবি, বাংলাদেশ থেকেও সনাতনের সংস্থায় অনুদান আসত।
২০১৯ সালে এনিয়ে সিঁথি থানায় সনাতনের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগও দায়ের হয়। সনাতনকাণ্ড প্রকাশ্যে আসতেই মুখ খুলেছেন উত্তরপাড়ার সমাজকর্মী।
পাশাপাশি জোরাল হয়েছে ধৃত সনাতন রায়চৌধুরীর বিজেপি-যোগের বিষয়টিও। পুলিশের হাতে এসেছে ২ নেতা-নেত্রীর দেওয়া শংসাপত্র।
শংসাপত্রের মূল অংশে সনাতন রায়চৌধুরীর বাবার নাম ও ঠিকানার পাশাপাশি, লেখা রয়েছে তিনি কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের একজন আইনজীবী। তিনি হিন্দু ধর্মে বিশ্বাসী এবং কলকাতায় সাধারণ মানুষের জন্য সংগঠনের হয়ে কাজ করেন। সাধারণ মানুষের বোঝার জন্য সহজ করে আইনের বই লিখেছেন। তিনি অত্যন্ত ভাল এবং নৈতিক চরিত্রের অধিকারী। সনাতন হলেন সমাজের সম্পদ।
শংসাপত্র পুরোটাই ভুয়ো বলে দাবি করে বিজেপি নেত্রী ধৃতের বিরুদ্ধে সই জাল করার অভিযোগ তুলেছেন।