বাদুড়িয়া:  সোশ্যাল মিডিয়ার একটি আপত্তিকর পোস্টের পরই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তর ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা। এখনও ধিকিধিকি জ্বলছে সেই অশান্তির আগুন। তারমধ্যেই উঠে আসছে সম্প্রীতির নানা ছবি। এই পরিস্থিতিতে বিবৃতি জারি করলেন রাজ্যের নানা ক্ষেত্রের বিশিষ্টজনেরা। যেখানে লেখা হয়েছে,


বাদুড়িয়া অশান্ত। এখন বাদুড়িয়া, হতেও পারত অন্য কোনও অঞ্চল। যেমন কিছুদিন আগে অশান্ত ছিল ধূলাগড়। আমরা অগ্নিগর্ভ হয়ে আছি। শুধু একটা দেশলাই কাঠির অপেক্ষা। এবারের অজুহাত এক ফেসবুক পোস্ট। হতেও পারত আরও একটু কিছু। প্রশাসনিক তৎপরতায় হয়তো আপাত শান্তি ফিরেও আসবে কয়েকদিন। কিন্তু সে পথে বিষবৃক্ষের শিকড়ের দিকে পৌঁছনো যাবে না। যে হিংসা দ্বেষ আমরা সবসময় লালন করে চলেছি, আমাদের মনে তার দিকে তাকানো আজ খুব জরুরি। অশান্ত অবস্থায় এসব কথা তোলাও ঝকমারি। তবুও আমাদের সনির্বন্ধ আবেদন ও অনুরোধ রইল সবার কাছে, যে কোনও রকম উত্তেজনায় ইন্ধন জোগানো আর পারস্পরিক দোষারোপ বন্ধ হোক।

বিবৃতিতে সই করেছেন, কবি শঙ্খ ঘোষ, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, রুদ্রপ্রসাদ সেনগুপ্ত, বিভাস চক্রবর্তী, মনোজ মিত্র, নবনীতা দেবসেন সহ বিদ্বজ্জনেরা।

বিশিষ্টরা বলছেন, শান্তিপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এই মুহূর্তে সবপক্ষের একযোগে কাজ করা উচিত।

এঅপ্রসঙ্গে সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়ের দাবি, সোশ্যাল মিডিয়া বন্ধুত্বের মাধ্যম। কুরুচিকর মন্তব্য করলে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিবাদ করা উচিত। সম্প্রীতি রক্ষা করা আগে উচিত। ঝামেলা কাম্য নয়।

গত কয়েকদিনের অশান্তিতে বসিরহাট বাদুড়িয়া-সহ বিভিন্ন এলাকার বহু মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন। অনেকে ঘরছাড়া হয়েছেন। কারও কারও গায়ে হিংসার আঁচ লেগেছে...এই পরিস্থিতিতে অনেকেই বলছে, এবার আমাদের সামনে তাকানো উচিত।

অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের মন্তব্য, মানুষের থেকে বড় জাত তো কিছু হয় না। সব কিছু ভুলে নতুন দিন শুরু করি। পরস্পরের বন্ধু হয়ে থাকি।

সঙ্গীত পরিচালক জিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি,

হিংসা কবলিত এলাকাগুলিতে এও দেখা গিয়েছে, এক সম্প্রদায়ের মানুষ বিপদে পড়লে, এগিয়ে এসেছেন অন্য সম্প্রদায়ের মানুষ।

কেউ মুখে বলেছেন...কেউ আবার গানের মাধ্যমে দিয়েছেন সম্প্রীতির বার্তা।