গৃহকর্তা বাপি ট্রেনে হকারি করেন...সারাদিন যেটুকু আয় হয়, তাই দিয়েই ৫ জনের পেট চলে...কিন্তু চলতি পরিস্থিতিতে ৪ দিন কাজে যেতে পারেননি বাপি....কীভাবে পেট চলবে সেই চিন্তায় ঘুম উড়েছে চৌধুরী দম্পতির...
বাপি-কবিতার একমাত্র মেয়ে অনামিকা স্কুলে পড়ে....অশান্তির জেরে সেটাও এখন বন্ধ.....
সবাই একবাক্যে এটা মানছেন, যা চলছে, তাতে আখেরে সাধারণ মানুষেরই ক্ষতি হচ্ছে।
কেউ অশান্ত এলাকা থেকে বেরোতে পারছেন না। কারও আবার বেরোতে পারলেও শান্তি নেই। যেমন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের আলিপুর ক্যাম্পাসের এক কর্মী। গত দু’দিন দেগঙ্গা থেকে আসতে পারেননি। এদিন এসেছিলেন..কিন্তু মন পড়ে ছিল বাড়িতেই...
উত্তর কলকাতার রামতনু বোস লেনের বাসিন্দা দেবজিৎ চট্টোপাধ্যায়। বাদুড়িয়া ও সংলগ্ন এলাকায় তাঁর মামা, মাসি, দিদি-সহ একাধিক নিকটাত্মীয় থাকেন...তাঁদের কথা ভেবে ঘুম উড়েছে দেবজিতের...
কলকাতায় বসে আত্মীয়দের জন্য চিন্তা করছেন এই যুবক...আর ওখানে যাঁরা থাকেন তাঁরা বলছেন, এবার অন্তত শান্তি ফিরুক!
পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এলাকায় এলাকায় টহল দিচ্ছে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী। তারমধ্যেই অসহায় এই মানুষগুলো বলছেন, দ্রুত শান্তি ফিরুক এলাকায়...ফিরুক সেই চেনা পরিবেশটা..যেখানে থাকবে না কোনও অবিশ্বাসের বাতাবরণ...