কলকাতা: বিগত কিছুদিন ধরেই তৃণমূল কংগ্রেসের নিশানায় রয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝাঁঝ বিগত দিনগুলিতে বাড়িয়েছে তৃণমূল। দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন যে,  বিজেপির বিরুদ্ধে কংগ্রেস নয়, রাস্তায় আছে তৃণমূল।  জাতীয় স্তরে বিরোধী বিকল্প হিসেবে রাহুল গাঁধী নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই এগিয়ে এমন মন্তব্যও শোনা গিয়েছে তৃণমূল নেতাদের গলায়। এবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুরে যাওয়ার ক্ষেত্রে উত্তরপ্রদেশ সরকারের বাধা নিয়ে কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গাঁধীর মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করল তৃণমূল। রাহুলকে পার্ট টাইম পলিটিয়ান বলেও কটাক্ষ করলেন তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ। এদিন লখনউতে রাহুল গাঁধী বলেন, লখিমপুরে ঢুকতে সব দলকে তো বাধা দেওয়া হয়নি। তৃণমূল কংগ্রেস ও ভিম পার্টি তো লখিমপুরে ঢুকতে পেরেছে। শুধু কংগ্রেস নেতাদেরই সেখানে যেতে বাধা দেওয়া হচ্ছে।


লখিমপুরকাণ্ডে রাহুল গান্ধীর এই মন্তব্যের তীব্র সমালোচনা করেছেন কুণাল ঘোষের। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদকের ট্যুইট, রাহুল গান্ধীর , সত্যকে বিকৃত করে সাধারণ মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা উচিত নয়। বিজেপির সঙ্গে লড়াই চালাতে ব্যর্থ কোনও পার্টটাইম রাজনীতিকের আলটপকা অরাজনৈতিক মন্তব্য তৃণমূল বরদাস্ত করবে না। আমরা জাতীয় কংগ্রেসকে শ্রদ্ধা করি। আমরা অ-বিজেপি জোটের পক্ষে। আমরা রাস্তায় আছি, শুধুমাত্র ট্যুইটারে নয়। রাহুল গান্ধীর জানা উচিত, দীর্ঘ লড়াইয়ের পর লখিমপুরে পৌঁছন তৃণমূল সাংসদরা। শুধুমাত্র অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আটকাতে আগরতলাজুড়ে ১৪৪ ধারা জারি করেছে ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। এমনকি উত্তরপ্রদেশের আমেথিতেও নিজেদের আসন ধরে রাখতে পারেনি কংগ্রেস। সেখানে বাংলায় বিজেপিকে হারিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। পাঞ্জাবেও কংগ্রেস ব্যর্থ। ট্যুইটে রাহুল গান্ধীকে কটাক্ষ কুণাল ঘোষের।


এর পাশাপাশি তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার বলেছেন, লখিমপুরে যাওয়ার অনুমতি তাঁদের কাছে ছিল না। অনেক অসুবিধে সত্ত্বেও ঢুকতে পেরেছি লখিমপুরে।


অন্যদিকে, প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীর অভিযোগ,কংগ্রেসকে শেষ করতেই তৃণমূল ও আপ-এর সঙ্গে যোগসাজশ করছে বিজেপি।