বহরমপুর: মুর্শিদাবাদের বেলডাঙায় ১৫ হাজার টাকা ছিনতাইয়ের পর, লিচু ব্যবসায়ীকে নৃশংসভাবে পিটিয়ে হত্যা। দুষ্কৃতীদের চিনে ফেলাতেই ছিনতাইয়ের পর খুন। প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। এখনও অধরা দুষ্কৃতীরা।


ডায়মন্ডহারবারের চোর সন্দেহে ছাত্রকে পিটিয়ে খুনের ৪৮ ঘণ্টা কাটতে না কাটতে আরও একটি নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সাক্ষী রইল রাজ্যবাসী। এবার ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদের বেলডাঙা। মাত্র ১৫ হাজার টাকার জন্য এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে পিটিয়ে খুন করল সম্ভবত তাঁরই পরিচিতরা!

দিন আনা, দিন খাওয়া সংসারের এক মাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন হাফিজুল শেখ। লিচু বিক্রি করে কোনওমতে দিন গুজরান! এভাবেই চলছিল...। কিন্তু, এভাবে যে আচমকা মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে, তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি হাফিজুলের পরিবার।

ঘটনার সূত্রপাত বুধবার রাতে। ঘড়ির কাঁটা সাড়ে ৮টা ছুই ছুই। কাজ সেড়ে সাইকেলে করে ফিরছিলেন হাফিজুল শেখ। আচমকাই পথ আটকে দাঁড়ায় ৫-৬ জন দুষ্কৃতী। অভিযোগ, বেধড়ক পিটয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় ব্যবসায়ীর সঙ্গে থাকা ১৫ হাজার টাকা। টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার পরও থামেনি উন্মত্ত দুষ্কৃতীরা। অনবরত লাঠির বাড়িতে মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় লুটিয়ে পড়েন হাফিজুল শেখ। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর।

হাফিজুলের স্বপ্ন ছিল একটি স্মার্ট ফোন কেনার। ভেবেছিলেন, লিচু বিক্রি করে পাওয়া ওই টাকা দিয়ে একটি মোবাইল ফোন কিনবেন। স্বপ্নের সঙ্গে হাফিজুলেরও মৃত্যু হল।

কিন্তু, স্রেফ টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্য থাকলে কেন নৃশংভাবে পিটিয়ে খুন করা হল এই ব্যবসায়ীকে? প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, দুষ্কৃতীদের চিনে ফেলেছিলেন হাফিজুল। সেকারণেই প্রমাণ লোপাট করতে ছিনতাইয়ের পর তাঁকে পিটিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা।

জীবনের দাম কি ১৫ হাজার টাকার থেকেও কম? টাকা নেওয়ার পর প্রাণটাও ছিনিয়ে নিয়ে নিতে হল!