করুণাময় সিংহ, মালদা : করোনা রুখতে পুজো! হবিবপুরের পলাশবনায় করোনা আবহে পুজো ঘিরে থিকথিকে ভিড়। উধাও দূরত্ব। গ্রামবাসীদের দাবি, করোনা যাতে না ঢুকে পড়ে, সেই কারণে পুজো করা হচ্ছে। করোনা আবহে এভাবে পুজো করায় সমালোচনায় সরব হয়েছেন চিকিৎসক থেকে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। বিষয়টি নিয়ে সচেতনতার প্রচার হবে বলে জানিয়েছে প্রশাসন। 


দেশে করনো পরিস্থিতি এখনও উদ্বেগজনক। করোনা মোকাবিলায় দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে ভ্যাকসিনেশন। করোনা রোগীদের সুস্থ করতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছেন চিকিৎসক-নার্সরা। নতুন নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি নিয়ে গবেষণা করে যাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা। তবুও কুসংস্কারের অন্ধকারে পড়ে রয়েছেন বহু মানুষ। গ্রামে করোনা যাতে না ঢুকে পড়ে, তাই এবার ছাগল বলি দিলেন মালদার হবিবপুরের পলাশবনার বাসিন্দারা। পুজো করলেন।


আর পুজোর গোটা সময়টায় উধাও দূরত্ব বিধি। পুজো ঘিরে থিকথিকে ভিড়। সিংহভাগের মুখে মাস্ক নেই। গ্রামবাসীদের দাবি, পুজো করলে নাকি গ্রামে করোনা প্রবেশ করবে না। এমনকি তাঁরা নাকি গ্রামের মধ্যে মাস্কও পরেন না। মালদার পলাশবনার এক গ্রামবাসী বলেছেন, 'পুজো করলে গ্রামবাসীদের করোনা প্রবেশ করবে না । মাস্কও পরি না। বাইরে গেলে পরি।'


করোনা আবহে দূরত্ব বিধি না মেনে এইভাবে পুজোর সমালোচনায় সরব হয়েছেন চিকিৎসক থেকে শুরু করে বিজ্ঞান মঞ্চের সদস্যরা। চিকিৎসক অরিন্দম বিশ্বাস বলেছেন, 'এগুলো মানুষের বিশ্বাস ভালো। অন্ধবিশ্বাস, কুসংস্কার ভালো নয়। পুজো করুক কিন্তু এভাবে করা ঠিক নয়। প্রশাসন কড়া ব্যবস্থা নিক। পুজো করে করোনা কেটে গেলে, এতদিনে করোনা থাকত না।' এদিকে, মালদা বিজ্ঞান মঞ্চের সহ সম্পাদক সুনীল কুমার সরকার বলেছেন, 'গ্রামে এভাবে পুজো হয়েছে করোনা ছড়াতে পারে এগুলো কুসংস্কার । মানুষকে সচেতন করি।'


হবিবপুরের বিডিও জানিয়েছেন, বিষয়টি জানা ছিল না খোঁজ নিচ্ছি। করোনা নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে একটি দল গঠন করা হয়েছে। সেই দল ওই গ্রামে গিয়ে মানুষকে সচেতন করবে।