বীরভূম ও কলকাতা: জলেও দুর্ভোগ! জল নামার পরও দুর্ভোগ! জল নামা শুরু হতেই জেলায় হু হু করে বাড়ছে জলবাহিত রোগের প্রকোপ।
বীরভূমের মুরারই, দুবরাজপুরের মতো বেশ কিছু এলাকায় ঘরে ঘরে দেখা দিয়েছে ডায়েরিয়ার প্রকোপ! মুরারই থানা এলারকার হবিবপুর গ্রামে ডায়েরিয়া আক্রান্ত হয়ে শতাধিক রোগী হাসপাতালে ভর্তি। দুবরাজপুরের ৬ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডেও ডায়েরিয়ার প্রকোপ। ইতিমধ্যে ২০ জনকে ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।


এই পরিস্থিতিতে রোগ থেকে বাঁচতে চিকিৎসকদের পরামর্শ--




  • বাইরের জল খাবেন না।

  • ফোটানো জল খান।

  • ই সময় ম্যালেরিয়ার আশঙ্কা থাকে। তাই মশারি টাঙিয়ে ঘুমোন।

  • জ্বর হলেই চিকিৎসকদের পরামর্শ নিন।


জেলায় জেলায় যা পরিস্থিতি, তাতে এই সময়ে জলবাহিত ও মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
শুধু রাজ্যের বন্যা নয়, শহরের বৃষ্টিতে জমা জলের ফলেও অনেক জায়গায় দেখা দিচ্ছে বিভিন্ন রোগ। সর্দি, জ্বর থেকে কাশি। কিম্বা মশাবাহিত রোগ। বর্ষায় ঘরে ঘরে অসুখ। বেশি ভুগছেন বৃদ্ধ ও শিশুরা। চিকিৎসকদের মতে, বর্ষায় স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশের কারণে জীবাণুর প্রকোপ বাড়ে।


তাই বর্ষায় সুস্থ থাকতে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ--




  • বৃষ্টিতে ভিজবেন না।

  • বাতানুকুল জায়গায় থাকলে ঘনঘন বাইরে যাওয়া যাবে না৷

  • বারবার বাইরে থেকে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ঘরে ঢোকাও ঠিক নয়৷ কারণ, তাপমাত্রার দ্রুত পরিবর্তনে ঠান্ডা লাগার সম্ভাবনা বাড়ে৷

  • রাস্তা থেকে ঘরে ঢুকেই ঠান্ডা জল খাবেন না৷

  • এই সময়ে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই মশারি টাঙিয়ে শোয়ার অভ্যাস করুন।

  • জ্বর হলে চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না।

  • মাথা ব্যথা, জ্বর জ্বর, গাঁটে ব্যথার মতো সমস্যা দেখা দিলে, অবিলম্বে চিকিৎসকের কাছে যান।


এছাড়া, বর্ষায় সংক্রমণ এড়াতে সার্বিক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার উপরও গুরুত্ব দিচ্ছেন চিকিৎসকরা৷ ডায়েটে প্রোটিনজাতীয় খাবার বেশি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা৷