কলকাতা: একদিকে, উন্নতি হচ্ছে আবহাওয়ার। অন্যদিকে, রাজ্যকে স্বস্তি দিয়ে পশ্চিম দিকে পা বাড়িয়েছে নিম্নচাপ।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ঝাড়খণ্ড হয়ে নিম্নচাপ সরে যাচ্ছে উত্তর ও মধ্যপ্রদেশের দিকে। তবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় প্রবল বৃষ্টি হতে পারে ঝাড়খণ্ডে। নিম্নচাপের প্রভাবে আগামী ২৪ ঘণ্টায় বিক্ষিপ্ত বৃষ্টি হবে কলকাতা সহ দুই বঙ্গে।
ঝাড়খণ্ডে বৃষ্টি হলে জল আরও বাড়তে পারে দামোদর, ময়ূরাক্ষী, অজয় ও কংসাবতীতে। এই পরিস্থিতিতে ডিভিসি থেকে নতুন করে জল ছাড়া হলে কী হবে? চিন্তার কারণ নেই, বলে আশ্বস্ত করেছে ডিভিসিও।
সোমবার মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে জরুরি বৈঠক হয় নবান্নে। বৈঠকে ছিলেন মুখ্যসচিব, সেচ দফতরের সচিব, বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের আধিকারিক ও ডিভিসির আধিকারিকরা।
সূত্রের খবর, ডিভিসি কর্তারা রাজ্যকে আশ্বস্ত করেন, দুর্গাপুর, পাঞ্চেত ও মাইথন জলাধারে জল আছে সবুজ সীমার মধ্যেই। তাই জল ছাড়ার প্রযোজন নেই। আশঙ্কা নেই প্লাবনের।
ডিভিসি কর্তারা আরও জানান, কেন্দ্রীয় জল কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, জল ছাড়তে হলে ৫ হাজার কিউসেক করে যেন কম জল ছাড়া হয়।
জল ছাড়া নিয়ে বার বার চরমে উঠেছে রাজ্য সরকার ও ডিভিসি-র সংঘাত৷ রাজ্যের অভিযোগ, তাদের না জানিয়ে জল ছাড়ে ডিভিসি৷ ডিভিসি কর্তৃপক্ষের পাল্টা জবাব, কখনও জল ছাড়ার সিদ্ধান্ত তারা একা নেয় না।
সোমবার শহরে এসে রাজ্যের প্রাক্তন ও বর্তমান বিদ্যুৎমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের পর সে কথাই ফের স্পষ্ট করে দেন কেন্দ্রীয় বিদ্যুৎমন্ত্রী। যদিও এ কথা মানতে নারাজ রাজ্যের প্রাক্তন বিদ্যুত্‍মন্ত্রী মনীশ গুপ্ত। তিনি আরও বলেন, জল আগে ছাড়া উচিত ছিল। অথচ জল ধরে রাখে, হঠাৎ করে ছেড়ে দেয়। মানুষের দুর্ভোগ হয়।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর প্রস্তাব, রাজ্য চাইলে সমাধানের জন্য কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে। এই প্রস্তাবে সমর্থন জানিয়েছেন বর্তমান বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। প্রস্তাব মেনে বৈঠকে বসা হবে কিনা তা নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।