হাওড়া:  ভরা বর্ষা আসতে এখনও ঢের বাকি। কিন্তু, তার আগেই পরপর দু’দিনের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ল হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। 


টিকিয়াপাড়া, সালকিয়া থেকে ঘুসুড়ি, রামরাজাতলা থেকে লিচুবাগান। কোথাও বড় রাস্তা, কোথাও আবার গলি-- দুদিন পরও সর্বত্র জল থইথই অবস্থা।


বেশ কিছু জায়গায় এখনও এক হাঁটু জল জমে রয়েছে। রাস্তার পাশাপাশি কিছু বাড়িতেও ঢুকে গেছে জল। সালকিয়ার এক বাসিন্দা বললেন, বৃষ্টি হলেই রাস্তায় ৩-৪ দিন জল দাঁড়িয়ে থাকে। হয়রানি হয়। কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না। 


হাওড়া নাজিরগঞ্জের বাসিন্দা স্বপনকুমার মালাকার আবার অন্য আশঙ্কার কথা শোনালেন। তিনি বলেন, একে কোভিড, তার মধ্যে জমা জলে ডেঙ্গি-ম্যালেরিয়া ছড়াবে। এইসব দুর্ভোগের মধ্যেই থাকতে হচ্ছে। এখন তো কোনও কাউন্সিলর নেই। সবাই জানে। কিন্তু কিছু হয় না।


পাশাপাশি, জমে জলে বাড়ছে তড়িদাহত হয়ে মৃত্যুর আশঙ্কা। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শিবপুরের জি সি আর রোডে জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক কিশোরের। 


মঙ্গল ও বুধবারের বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়ে পড়ে হাওড়ার শিবপুরের বিভিন্ন এলাকা। বৃহস্পতিবারও সেই জল নামেনি। এই অবস্থায় এদিন নিকাশি নালার কাজ করছিলেন পুরকর্মীরা।


স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, পুরকর্মীদের ঘিরে রাখা জায়গা দিয়ে জমা জল পেরিয়ে যাওয়ার সময় বিদ্যুত্স্পৃষ্ট হয় ওই কিশোর।  


এদিকে, জল জমার সমস্যা নিয়ে বৃহস্পতিবার বৈঠক করে হাওড়া পুরসভার প্রশাসকমণ্ডলী। সূত্রের খবর, বৈঠকে নর্দমা থেকে পলি তোলা ও নিকাশি ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। 


হাওড়া পুরসভা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান অরূপ রায় বলেন, জমে থাকা জল দ্রুত সরানোর জন্য অতিরিক্ত পাম্প বসানো হবে।


প্রায় আড়াই ধরে হাওড়া পুরসভায় কোনও নির্বাচিত বোর্ড নেই। বুধবার ৭ সদস্যের পুর প্রশাসকমণ্ডলী নিয়োগ করেছে পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর। বর্ষার আগে নিকাশি ব্যবস্থা ঢেলে সাজাতে কী ব্যবস্থা নেবে পুর প্রশাসকমণ্ডলী? সেদিকেই তাকিয়ে হাওড়ার বাসিন্দারা।