বাঁকুড়া: বাঁকুড়ায় বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকারের গাড়ি ভাঙচুর। পাতালখুড়িতে বাইকে চড়ে দুষ্কৃতীদের হামলা। গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়ার অভিযোগ। ওই সময় গাড়ির মধ্যেই ছিলেন সুভাষ সরকার। অল্পের জন্য তিনি রক্ষা পান। অভিযোগের তির তৃণমূল কংগ্রেসের দিকে। তৃণমূলের কোনও যোগ নেই, এটা বিজেপির গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, পাল্টা দাবি তৃণমূল জেলা সভাপতি শ্যামল সাঁতরার।
বিজেপি সাংসদের অভিযোগ, তিনি যখন পাতালখুড়ির দিকে যাচ্ছিলেন, তখন পিছন থেকে কয়েকজন বাইক ও স্কুটারে এসে তাঁর গাড়িতে ভাঙচুর করে। তাঁর অভিযোগ, হামলাকারীদের চেনা যায়নি। তারা বলে যায়, খুব বাড় বেড়েছে।
সুভাষ সরকারের অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তিনি বলেছেন, এই সময়ে এ ধরনের রাজনৈতিক সন্ত্রাস তৃণমূল ছাড়া আর কে করতে পারে।
অন্যদিকে, তৃণমূল এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে। শ্যামলা সাঁতরা বলেছেন, এই ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। তিন বছর আগে অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোটে জিতেছিলেন বিজেপি সাংসদ। তারপর থেকে কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেননি। তাঁর গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনায় তৃণমূলের কোনও যোগ নেই। এটি বিজেপি অন্দরের কোন্দলের কারণে হতে পারে।
উল্লেখ্য, এবারের বিধানসভা নির্বাচনে ২১৩ আসন জিতে বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় ফিরেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ভোটের ফল প্রকাশের পরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে তাদের দলীয় কর্মীদের ওপর হামলার অভিযোগ করেছে বিজেপি। এই অভিযোগ ঘিরে দুই পক্ষের বাকযুদ্ধ তুঙ্গে উঠেছে। এরইমধ্যে সুভাষ সরকারের গাড়িতে ভাঙচুরের অভিযোগ সামনে এল।
পুলিশ এই ঘটনায় মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনা ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক চাপানউতোর তুঙ্গে উঠেছে। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে ভালো ফল করেছে তৃণমূল। লোকসভা নির্বাচনের ধাক্কা কাটিয়ে রাজ্যের জঙ্গলমহলের চার জেলায় ঘুরে দাড়িয়েছে তৃণমূল। তবে বাঁকুড়াতে বিজেপি তাদের জমি ধরে রাখতে পেরেছে। এদিনের ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে সে কথা মনে করিয়ে দিতে ভোলেননি বিজেপি সাংসদ সুভাষ সরকার।