অমিতাভ রথ, ঝাড়গ্রাম: সংক্রমণ রুখতে ঝাড়গ্রাম পুর এলাকায় সম্পূর্ণ লকডাউন জারি। দুটি ওয়ার্ডে কনটেনমেন্ট জোন বলে ঘোষণা করেছে প্রশাসন। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে প্রশাসনের তরফে চলছে মাইকে প্রচার। করোনা বিধি না মানলে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক। প্রশাসনের উদ্যোগে খুশি ঝাড়গ্রামবাসী।
কোভিডের প্রথম ঢেউয়ের সময় কনটেনমেন্ট জোনের সঙ্গে পরিচিত হয়েছিল রাজ্যবাসী। এবার সংক্রমণ রুখতে বিভিন্ন এলাকায় তৈরি করা হচ্ছে কনটেইনমেন্ট জোন থেকে লকডাউন। যেসব জায়গায় এখনও প্রকোপ রয়েছে সেখানে মাইক্রো কনটেনমেন্ট জোন করা হয়েছে। সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউ সামলে ওঠার আগেই তৃতীয় ঢেউ আছড়ে পড়ার আশঙ্কা। সঙ্গে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চোখ রাঙানি। এই পরিস্থিতিতে সংক্রমণের হার তলানিতে নামিয়ে আনাই লক্ষ্য। কিন্তু উদ্বেগ বাড়িয়ে ঝাড়গ্রাম পুরসভার ১৮টি ওয়ার্ডে ফের বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এর মধ্যে ১৪ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে আক্রান্তের সংখ্যা বেশি।
সংক্রমণ-শৃঙ্খল ভাঙতে আজ মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার পুর এলাকায় জারি হয়েছে সম্পূর্ণ লকডাউন। শুধুমাত্র জরুরি পরিষেবায় ছাড় দেওয়া হয়েছে। সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে চলছে মাইকে প্রচার। দুটি ওয়ার্ডে বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে তৈরি করা হয়েছে কনটেনমেন্ট জোন। লকডাউনের জেরে মেদিনীপুর থেকে পুরুলিয়াগামী সরকারি বাসও আটকে পড়েছে। ঝাড়গ্রামের জেলাশাসক জানিয়েছেন, পুর এলাকায় সচেতনতা কম। মানুষ অযথা বেরিয়ে পড়ছেন। তাই সম্পূর্ণ লকডাউনের সিদ্ধান্ত। করোনা বিধি না মানলে বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।
গতকাল, সোমবার রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিন অনুযায়ী, জেলায় একদিনে আক্রান্তের সংখ্যা ২৬। মৃত্যু হয়েছে ১ জনের। করোনাকে জয় করে সুস্থ হয়েছেন ৪৪ জন। একদিনে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ১৯। এখনও পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১০ হাজার ৩৭৫। মোট মৃত্যু হয়েছে ২৫ জনের। অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা ৪৭৫। সব মিলিয়ে মোট সুস্থতার সংখ্যা ৯ হাজার ৮৭৫।