কলকাতা:  রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে মুরলিধর সেন লেনে রাজ্য দফতরের সামনে ধর্নায় বসেছে রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। 


দলের রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ছাড়াও উপস্থিত রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, অগ্নিমিত্রা পাল, সায়ন্তন বসু ও জয়প্রকাশ মজুমদার। 


এদিকে, জগদ্দলে নিহত বিজপি কর্মীর বাড়িতে গেলেন দলের সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। সেখানে তিনি নিহতের পরিবারের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটান। 


বিজেপি সভাপতি বলেন, 'ভোটের পর পশ্চিমবঙ্গের যা ছবি দেখছি, তা চিন্তাজনক। স্বাধীনতার আগে ভারত ভাগ হওয়ার সময় এমন অসহিষ্ণুতা হয়েছিল বলে শুনেছি।'


গতকালই রাজ্যে আসেন বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা। তিনি সোনারপুরে আক্রান্ত দলীয় কর্মীদের সঙ্গে দেখা করেন।  
হামলার ঘটনা নিয়ে তিনি তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করে বলেন, রাজ্যে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভেঙে পড়েছে। এমন চলতে থাকলে বিজেপি চুপ করে বসে থাকবে না। গণতান্ত্রিক উপায়ে জবাব দেওয়া হবে। 


ভোটের ফল বেরনোর পর রাজ্যে বিক্ষিপ্ত হিংসা নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির চাপানউতোর চলছেই। আজ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তৃতীয়বার শপথ নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 


এদিনই সারা দেশজুড়ে বিক্ষোভ কর্মসূচী রাখে বিজেপি। রাজ্য় বিজেপির তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, এদিন মুরলিধর সেন লেনে দলীয় কার্যালয়ের তারা ধর্নায় বসবে। 


এদিন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন, মুরলিধর সেন লেনে দলের কার্যালয়ের সামনে মঞ্চ তৈরি হয়েছিল, পুলিশ সেটা ভেঙে দেয়। পুলিশের বক্তব্য, ওই রাস্তা দিয়ে নাকি অ্যাম্বুলেন্স যায়।যদিও, পরে সেখানেই ধর্নায় বসেন বিজেপি নেতারা। 


এর আগে, সদ্য বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী দলীয় প্রার্থীদের নিয়ে একপ্রস্থ বৈঠকও করেন দিলীপ ঘোষ। বৈঠক হয় হেস্টিংস কার্যালয়ে। 


এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত ছিলেন দিলীপ। কিন্তু, বিজেপি কর্মীদের হত্যার প্রতিবাদে তিনি সেই অনুষ্ঠান বয়কট করার কথা জানিয়ে দেন।


বিজেপি রাজ্য সভাপতি বলেন, ভোটের পর আমাদের কর্মীদের ওপর একের পর এক আক্রমণ নেমে আসছে। এই সরকার আরও বেশি অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী পরিবেশ তৈরি করবে।


এর আগে, সোমবারই দিলীপ ঘোষ অভিযোগ করেন যে, রাজ্যজুড়ে বিজেপি কর্মীদের ওপর হামলা চালাচ্ছে তৃণমূল। ঘরবাড়ি-দোকানঘর ভাঙচুর করা হচ্ছে। তাঁদের ছয় কর্মীকে খুন করা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি। 


একইসঙ্গে দিলীপ দাবি করেন, আগে রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হোক। তারপর হোক শপথ। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারির পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।