বীরভূম: বাউল শিল্পী বাসুদেব দাসকে ঘিরে এখন তুঙ্গে বিজেপি বনাম তৃণমূলের রাজনীতি।


রবিবার শান্তিনিকেতনের রতনপল্লিতে বাউলশিল্পী বাসুদেব দাসের বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন অমিত শাহ। মঙ্গলবার পাশে বসিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করলেন অনুব্রত মণ্ডল। শিল্পীর মেয়েকে দিলেন উচ্চশিক্ষায় আর্থিক সাহায্য়ের আশ্বাস। বুধবার আবার ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে অনুব্রতকে পাল্টা দিলেন বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা।


কিন্তু, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁর বাড়িতে আসবেন, তা তিনি কীভাবে জানতে পারলেন বাসুদেব? এই প্রশ্নের জবাবে বাউলশিল্পী জানান, দুজন বাইকে করে এসে তাঁকে এই খবর দিয়ে যান।


বাসুদেব বলেন, কয়েকজন ছেলে প্রথমে এল বাইক নিয়ে। প্রথমে আমি ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তারপর আমাকে বলল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে খাওয়াতে হবে। আমি খুশি হয়েই বলি নিশ্চয়ই।


শিল্পীর দাবি, বিশেষ অতিথি তাঁর বাড়িতে আসছেন। সেই অনুযায়ী, তিনি বাজার করতে বেরিয়ে পড়েন। বলেন, খাবারের জন্য প্রস্তুতি শুরু করি। বাজার থেকে কেনাকাটা করে নিয়ে আসি।


বাসুদেব স্বীকার করেন, তিনি নিজে রেশনের চাল খেলেও, অতিথির জন্য মিনিকিট চাল কিনে আনেন। বলেন, যদিও আমি রেশনের চাল দিয়ে রান্না করি। অমিত শাহ জন্য মিনিকেট চাল রান্না করি।


রবিবাসরীয় দুপুরে অতিথিকে হৃদমাঝারে রাখার অঙ্গীকার করেছিলেন বাউলশিল্পী। সেই কথা পালন করেছিলেন। সাজিয়েগুছিয়ে নিজের বাড়ির দাওয়ায় বসিয়ে খাইয়েছিলেন দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে।


ভেবেছিলেন নিজের কষ্টের কথা জানাবেন। ভেবেছিলেন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ কে তার অভাব-অভিযোগের শোনাবেন। তাঁর আক্ষেপ, অমিত শাহ খাওয়া-দাওয়ার পরে সেখান থেকে অমিত শাহ বেরিয়ে যান।


বাসুদেব বলেন, টাকা পয়সা খরচা করে বাজার করেছিলাম। ভেবেছিলাম আমার মেয়ে এমএ করছে তার জন্য অমিত শাহের কাছে জানাব বিষয়টা। কথা বলা হল না। মেয়ের ডিএডের কথা বলা হল না।


বাসুদেব বললেন, খাওয়া দাওয়া করেই পাশের দরজা দিয়ে চলে গেলেন শাহ। এরপর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি লিখি, আমি আপনার পদযাত্রায় বাউল গান গাইতে চাই জানিয়ে।


পরিবারের সমস্যার কথা শুনে শিল্পীর মেয়ের উচ্চশিক্ষার ব্যবস্থা করার আশ্বাস দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। বলেন, যদিও আমি কোন রাজনীতি করি না আমি একজন বাউল শিল্পী।


এপ্রসঙ্গে, বাউলশিল্পী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছি। মুখ্যমন্ত্রীর তরফ থেকে জানানো হয়েছে ২৯ তারিখে রেলিতে থাকার জন্য।