কলকাতা : কৃষকদের জন্য সুখবর। চলতি বছরেও স্বাভাবিক বর্ষার সাক্ষী থাকবে দেশ। তেমনই জানান দিচ্ছে আবহাওয়ার পূর্বাভাস।'ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট'(আইএমডি)র লং রেঞ্জ ফোরকাস্টে জানানো হয়েছে এই তথ্য।



এই নিয়ে টানা তিন বছর ফের স্বাভাবিক বর্ষা হতে চলেছে দেশে।'ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট'(আইএমডি)র ডিরেক্টর জেনারেল এম মহাপাত্র জানিয়েছেন, চলতি বছরে জুন থেকে সেপ্টেম্বরে ৯৮ শতাংশ বৃষ্টি হবে। যা বর্ষার স্বাভাবিক বৃষ্টিপাতের শ্রেণিতেই পড়ে। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমে বর্ষার লং পিরিয়ড অ্যাভারেজ (এলপিএ) ৮৮০ এমএম। ১৯৬১-২০১০ সালের হিসেব কষেই এই তথ্য পাওয়া গেছে।

'ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট'(আইএমডি)র তথ্য বলছে, দেশের ৭০ শতাংশ বার্ষিক বৃষ্টিপাত এই দক্ষিণপশ্চিম বর্ষা মরশুমের দৌলতে হয়। বছরে দু'বার এই লং রেঞ্জ ফোরকাস্ট প্রকাশ করে আবহাওয়া দফতর।(আইএমডি)র তরফে জানানো হয়েছে, স্বাভাবিক বর্ষা হলেও সব জায়গায় সমান বৃষ্টিপাত হবে না এবার। উত্তরপূর্বের সঙ্গে ওড়িশা, ঝাড়খণ্ড, বিহারে অপেক্ষাকৃত কম বৃষ্টিপাত হবে।

এ বিষয়ে 'মিনিস্ট্রি অফ আর্থ অ্যান্ড সায়েন্সেস'-এর সচিব এম রাজীবন জানিয়েছেন, দেশে এবার স্বাভাবিক বর্ষা দেখা যাবে। যা কৃষিজীবীদের জন্য খুবই সুখকর বিষয়।২০২১-এর বর্ষার ক্ষেত্রে আমরা কোনও 'এল নিনো' পরিস্থিতি দেখছি না। মূলত, এই 'এল নিনো'র দক্ষিণী বর্ষার ওঠানামার নামার ওপরেই দেশের গ্রীষ্মকালীন বর্ষার ভবিষ্যত অনেকটাই নির্ভর করে। আবহবিদরা জানাচ্ছেন, এল নিনো-র সঙ্গে কোনও সরাসরি যোগাযোগ নেই বর্ষার। মূলত, প্রশান্ত মাহাসাগরের অস্বাভাবিক গরমের পরিস্থিতি হল এল নিনো। যার ফলে স্বাভাবিকের থেকে কম বৃষ্টিপাত হয় দেশে।

একইরকমভাবে বর্ষায় প্রভাব বিস্তার করে 'লা নিনা'। এটা একেবারে 'এল নিনো'-র বিপরীত পরিস্থিতি। যা ভারতে স্বাভাবিক বর্ষার পথ সুগম করে। তবে দেশে বর্ষার পূর্বাভাসের আগে 'ইন্ডিয়ান ওশেন ডিপল'-এর বিষয়টাও মাথায় রাখে ইন্ডিয়ান মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট'(আইএমডি)। প্রতিষ্ঠানের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী মে মাসের শেষের দিকে আপডেটেড বর্ষার পূর্বাভাসের বিষয়ে ফের জানাবেন তারা।

আবহবিদরা মনে করছেন, এবার আইএমডি-এই পূর্বাভাস সত্যি হবে। কদিন আগেও ওই একই পূর্বাভাস দিয়েছিল স্কাইমেট-এর মতো বেসরকারি এজেন্সি। তারা জানিয়েছিল দেশে এবার স্বাভাবিক বর্ষা হবে ১০৩ শতাংশ। বর্তমানে আইএমডি-র সঙ্গে স্কাইমেটের মতপার্থক্য মাত্র ৫ শতাংশ।যা বুঝিয়ে দিচ্ছে, এবার বৃষ্টির অভাবে কপালে ভাজ পড়বে না কৃষকদের।