কলকাতা : দুপুর হতেই ঘনাল জমাট অন্ধকার। আকাশ কালো করে নামল মুষল ধারে বৃষ্টি। সঙ্গে বাজ। আর তার মাঝেই বাজ পড়ে ও প্রবল বৃষ্টির জেরে দৃশ্যমানতা কম থাকায় দুর্ঘটনার কবলে পড়ে রাজ্যে প্রাণ হারালেন ৪ জন। মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জে একজন আর বর্ধমানের খণ্ডঘোষে বাজ পড়ে আরও একজন মারা গিয়েছেন। অপরদিকে, নানুরে গাড়ি দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন আরও দু'জন। এদিকে, পুরুলিয়ায় হাসপাতালের সামনে ভেঙে পড়ে গাছ। দেবেন মাহাতো সদর হাসপাতালের সামনে ঝড়-বৃষ্টির দাপটে ভাঙে গাছ। অল্পের জন্য বড়সড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা।


ঝ়ড়-বৃষ্টির পূর্বাভাস ছিলই। এদিন দুপুরেই নামে আঁধার। প্রবল বৃষ্টিতে ভেজে শহর কলকাতা।  শহরের বিভিন্ন জায়গায় হাল্কা বৃষ্টি হয়। ভারী বৃষ্টি হয়েছে বীরভূম, মালদা, হুগলি সহ বেশ কিছু জেলায়। আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস, বৃষ্টির সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়াও চলবে কলকাতা, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি সহ দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলায়।


এর মাঝেই আসে দুঃসংবাদ।মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে বাজ পড়ে ১জনের মৃত্যু হয়। পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষেও বাজ পড়ে আরও ১জনের মৃত্যু হয়।প্রবল বৃষ্টিতে দুর্ঘটনায় নানুরে ২ জনের মৃত্যু হয়। প্রবল বৃষ্টির মাঝে দৃশ্যমানতা কম থাকায় নানুরের গাড়ি-ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষ। ঘটনাস্থলেই গাড়ির চালক-সহ ২জনের মৃত্যু হয়। ডাম্পারকে ধাক্কা মেরে মাঠে পড়ে যায় গাড়ি। গাড়ি কেটে নিহতদের বের করে পুলিশ।


দুপুর ২টো থেকে ৩টে পর্যন্ত ঠনঠনিয়ায় ৮৭.৯ মিলিমিটার, চিংড়িঘাটায় ৬৭.৫ মিলিমিটার, বীরপাড়ায় ৬০.৮ মিলিমিটার, ধাপায় ৮৬ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দেড় ঘণ্টা ধরে টানা বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয় হাওড়ার বিস্তীর্ণ এলাকাও। হাওড়া এলাকায় অন্তত ৪০টি ওয়ার্ডে জল জমে যায়। পাম্প চালিয়ে জল নামানো হয়েছিল। কিন্তু, ফের বিকেলে নতুন করে বর্ষণ শুরু হওয়ায় সেই কাজ স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। 


মালদাতেও বৃষ্টি হয়েছে। জানা গেছে, সেখানে গতকাল রাত থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। মালদা ও হরিশ্চন্দ্রপুরে শিলাবৃষ্টিতে আম, ধান ও পাট চাষের ক্ষতি হয়েছে। কিছু কাঁচা বাড়ি ভেঙে পড়েছে বলে খবর। জেলা প্রশাসন ক্ষয়ক্ষতি খতিয়ে দেখছে।