কলকাতা: চার বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচনের উপলক্ষে রাজ্যে এল আরও ১২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। এর আগে  চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনে নিরাপত্তার দায়িত্বে মোট ৮০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।  ৩০ অক্টোবর রাজ্যের চারটি বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন। সেই উপলক্ষে বাংলায় এখন মোট ৯২ কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করল নির্বাচন কমিশন।


দিনহাটা, শান্তিপুর, গোসাবা ও খড়দহ বিধানসভায় উপনির্বাচন হবে। এর মধ্যে দিনহাটায় থাকবে সবথেকে বেশি বাহিনী মোতায়েন হচ্ছে বলে খবর। চার কেন্দ্রের প্রার্থীর জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তার দাবি তুলেছিল বিজেপি। প্রাথমিকভাবে এই উপনির্বাচনের জন্য ২৯ কোম্পানি বাহিনী পাঠালেও সেই সংখ্যা বাড়তে বাড়তে এখন ৯২। দিনহাটায় থাকবে ২৭ কোম্পানি, শান্তিপুরে (২২ কোম্পানি, খড়দহে ২০ কোম্পানি ও গোসাবায় ২৩ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন থাকবে, খবর কমিশন সূত্রে।


একটি ভোটকেন্দ্রে যদি একটি বুথ থাকে, সেখানে থাকবেন ৪ জন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান। ২ থেকে ৪টি বুথ থাকলে, ৮ জন। ৫ থেকে ৮টি বুথ থাকলে ১৬ জন এবং ৯ বা তার বেশি বুথ থাকলে, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকবেন ২৪ জন জওয়ান। এদিকে, উপনির্বাচনের আগে প্রচারকে কেন্দ্র করে, পরপর দু’দিন উত্তেজনা ছড়িয়েছে দিনহাটায়, এমন প্রকাশ্যে আসতেই নড়েচড়ে বসেছে কমিশন।



এর আগে যখন মোট ৮০ কোম্পানি বাহিনী রাজ্যে মোতায়েন হয়, সেই সময় বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহের কথায়, ৮০ কোম্পানি বলছে, আমরা চাইছি ১২০ কোম্পানি। কিউআরটি টিম বাড়াতে বলা হয়েছে। ভবানীপুরে ফলস ভোটার। পুলিশ বলেছিল ভোট দিতে যাবেন না, চাকরি যাবে। কোভিড কারণে ভোটের দিন যাতে কোনও দলের এজেন্ট বুথের মধ্যে। 


একুশের বিধানসভা ভোটে বিজেপির হয়ে দিনহাটায় প্রার্থী হয়েছিলেন নিশীথ প্রামাণিক। আর রানাঘাটের সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে শান্তিপুরের প্রার্থী করেছিল বিজেপি। নির্বাচনে জয়ী হন তাঁরা দু'জনেই। কিন্তু, এরপরই সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা না দিয়ে বিধায়ক পদ থেকে ইস্তফা দেন তাঁরা। তাই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া দুই বিধানসভা কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে ৩০ অক্টোবর। আর এই দুই আসনে তৃণমূলের হয়ে লড়বেন উদয়ন গুহ ও ব্রজকিশোর গোস্বামী। শান্তিপুরে BJP-র প্রার্থী নিরঞ্জন বিশ্বাস ও দিনহাটাতে লড়বেন অশোক মণ্ডল।