মালদা:  ২০১৩-র পঞ্চায়েত নির্বাচনে মালদা জেলা পরিষদে জিতেছিল কংগ্রেস! ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনেও মালদা খালি হাতেই ফিরিয়েছিল তৃণমূলকে!কিন্তু, তারপর কংগ্রেস ভাঙিয়ে শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মালদা জেলা পরিষদ দখল করেছিল তৃণমূল! এরপর শুভেন্দুর ব্যবস্থাপনাতেই লোকসভা ভোটের মুখে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেন মালদার প্রবাদপ্রতিম কংগ্রেস নেতা বরকত গণি খান চৌধুরীর ভাগ্নী মৌসম বেনজির নুর! দল বদলে ভোটে হেরে, নিজের সাংসদ পদ হারান মৌসম! আর যাঁর হাত ধরে তিনি কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে গেছিলেন, সেই শুভেন্দু অধিকারীই এখন বিজেপিতে! আর শুভেন্দুর হাত ধরে মালদাতে এবার তৃণমূলেই ভাঙন ধরে কি না, সেটাই শাসক দলের সবচেয়ে বড় চিন্তা! এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার মালদা জেলা তৃণমূল পার্টি অফিসে প্রায় ৪ ঘণ্টা ধরে চলে রুদ্ধদ্বার বৈঠক।
মালদা তৃণমূল কংগ্রেস চেয়ারম্যান মোয়াজ্জেম হোসেন বলেছেন, হৃদয়ে কিছু আর মুখে কিছু চলবে না, যাদের মুখে তৃণমূল কংগ্রেস আছে, তাদের হৃদয়ে থাকতে হবে, কারা দলের হয়ে কাজ করছেন না সেই বিষয়ে নজরদারি চালানো হবে, প্রয়োজনে ব্যবস্থা নেবে জেলা নেতৃত্ব, প্রয়োজনে রাজ্য নেতৃত্ব কেউ জানানো হবে।
মালদা তৃণমূল কংগ্রেস সভানেত্রী মৌসম বেনজির নুর বলেছেন, দলে একটু আধটু সমস্যা থাকতেই পারে সেজন্য বৈঠক।
ঘর ধরে রাখতে তৃণমূলের বৈঠককে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। জেলা বিজেপি সহ সভাপতির কটাক্ষ মিটিং মিছিল করে কিছু হবে না। তৃণমূল কংগ্রেস ভাঙবেই, তৃণমূল সাইনবোর্ডে পরিণত হবে।
শনিবার তৃণমূল থেকে বিজেপিতে যোগ দেন গাজোলের বিধায়ক দীপালি বিশ্বাস। শুভেন্দু অধিকারীর হাত ধরেই সিপিএম থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন দীপালি!আর শনিবার শুভেন্দুর সঙ্গেই তৃণমূল থেকে বিজেপিতে গেলেন দিপালী বিশ্বাস!
যদিও, ইতিমধ্যেই দু’বার দল বদলে ফেললেও, ২০১৬-য় কংগ্রেসের সমর্থনে সিপিএম প্রার্থী হিসাবে জেতা বিধানসভা আসন থেকে এখনও পদত্যাগ করেননি তিনি।