পূর্ব বর্ধমান: দল বদলের পর প্রথম সভাতেই প্রাক্তন দলকে তীব্র আক্রমণ শুভেন্দু অধিকারীর। কয়েকদিন আগেই বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন তৃণমূল নেতা শুভেন্দু। এবার প্রথম সভাতেই বললেন, ‘১৯৯৮-তে বিজেপি আশ্রয় না দিলে তৃণমূল উঠে যেত’।
দলবদলের পর আজ প্রথম বিজেপির হয়ে জনসভা করলেন শুভেন্দু অধিকারীর। পূর্ব বর্ধমানের দুটি জায়গায় আজ বিজেপির জনসভা ও যোগদান কর্মসূচি ছিল। পূর্বস্থলীর জনসভায় একই মঞ্চে শুভেন্দু অধিকারী ও দিলীপ ঘোষ ভাষণ দিলেন।

শুভেন্দু বললেন, ‘সব পদ ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি। বিজেপি ক্ষমতায় এলে রাস্তায় রাস্তায় তোলাবাজি বন্ধ হবে। অমিত শাহ টাইট দেওয়ায় গরুপাচার-কয়লাপাচার বন্ধ হয়েছে। বিজেপি ক্ষমতায় এলে কিডনি পাচারও বন্ধ হয়ে যাবে।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকারের দুয়ারে সরকার কর্মসূচীকেও কটাক্ষ করেছেন শুভেন্দু। তিনি বলেছেন, দুয়ারে সরকার নয়, যমের দুয়ারে সরকার। কৃষকরা যদি ৬০০০ করে পেতে চান, তাহলে বিজেপি সরকার চাই।
তৃণমূলকে এখন কোম্পানি হয়ে গেছে বলেও তীব্র আক্রমণ করলেন শুভেন্দু।
শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর তৃণমূল তাঁকে বিশ্বাসঘাতক বলে আক্রমণ শানিয়েছে। এর জবাব দিতে গিয়ে শুভেন্দু বললেন, ‘ যে কংগ্রেস ভেঙে তৃণমূল করেছেন, সেই কংগ্রেসের হাত ধরতে হয়েছিল । আমায় বিশ্বাসঘাতক বলছে, আমায় মিরজাফর বলা হচ্ছে। সব পদ ছেড়ে বিজেপিতে এসেছি, নৈতিকতা বিসর্জন দিইনি।’
তিনি বলেছেন, বাংলায় পরিবর্তনের পরিবর্তন চাই। শিল্প আনতে হবে, বেকারকে চাকরি দিতে হবে। দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে সবাই জোট বাঁধুন।দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে দল যা বলবে তাই করতে হবে।

মেদিনীপুরে অমিত শাহর জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়েও তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ করেছিলেন শুভেন্দু। বলেছিলেন, আত্মসম্মান নিয়ে তৃণমূলে থাকা যায় না। যেখানে আস্থা নেই, বিশ্বাস নেই, সম্মান নেই সেখানে তিনি থাকবেন না, এটা মেদিনীপুরের চরিত্র। মমতার নাম না করে তিনি বলেন, বলছে, মায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। মা কে? যিনি গর্ভধারিণী, জন্ম দিয়েছেন। সেই হিসেবে তাঁর মা গায়ত্রী অধিকারী, আর কেউ না। আর তিনি মা বলেন ভারত মাতাকে, যিনি স্বামী বিবেকানন্দের আরাধ্য দেবী। কাউকে মা বললে তা তিনি ভারত মাতাকে বলবেন, অন্য কাউকে মা বলা সম্ভব না।ভাষণের একেবারে শেষে বলেছিলেন, তোলাবাজ ভাইপো হঠাও।