শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার : করোনার জন্য দেশজুড়ে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা! অক্সিজেনের জন্য হাহাকার! দিল্লি, অমৃতসর-সহ একাধিক জায়গায় ইতিমধ্যেই অক্সিজেনের অভাবে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে! এই পরিস্থিতিতে এ রাজ্যেও যে হারে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে, তাতে অনেকেরই প্রশ্ন, আগামী কয়েকদিনে কি বাংলাতেও অক্সিজেনের অভাব দেখা দিতে পারে? 


দিন দিন বাড়তে চলা এই আতঙ্কের মধ্যেই পথ দেখাল কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল! অক্সিজেনের চাহিদা মেটাতে এখানে তৈরি হচ্ছে অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের শুক্রবারের বুলেটিন অনুযায়ী, 

কোচবিহারে বর্তমানে অ্যাক্টিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ৪৪০। এর মধ্যে শুক্রবার একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ১১৫ জন। পরিস্থিতি যে দিকে এগোচ্ছে, তাতে কোচবিহারে মেডিক্যাল কলেজে অক্সিজেনের চাহিদা আগের তুলনায় অনেকটাই বেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, যে অক্সিজেন জেনারেটর প্ল্যান্ট তৈরি হচ্ছে, সেটি 


বাতাস থেকে অক্সিজেন আলাদা করে তা চিকিৎসার কাজে ব্যবহারের উপযোগী করবে। পাইপের মাধ্যমে তা থেকে কমপক্ষে ৩০০ রোগী অক্সিজেন পাবেন।


কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজের সুপার রাজীব প্রসাদের দাবি, '' ২ হাজার লিটার ক্ষমতার এই সিলিন্ডার থেকে সাধারণ রোগীর পাশাপাশি, করোনা আক্রান্ত রোগীদের অক্সিজেন দেওয়া যাবে। আগামী দুই তিন দিনের মধ্যেই চালু হবে এই ব্যবস্থা।''


 


কোচবিহারের জেলাশাসক জানিয়েছেন, জেলায় যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেনের সিলিন্ডার মজুত রয়েছে। প্রতি সাত দিন অন্তর তা নজরদারি করা হচ্ছে। ফলে আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই।


 


অন্যদিকে,  অক্সিজেনের হাহাকার কলকাতাতেও ৮০ জন রোগী ভর্তি, হাতে মাত্র ১ঘণ্টার অক্সিজেন! উত্তর ভারতের পর এবার অক্সিজেন সঙ্কট বাংলাতেও । অক্সিজেন সঙ্কটে মানিকতলার জেএন রায় হাসপাতাল । হাসপাতালের ৮০জন রোগীর মধ্যে ৫০জন করোনা আক্রান্ত ।কীভাবে পরিস্থিতি সামাল? অনিশ্চয়তায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । 


 


বাংলায় যখন এই ছবি, তখন দিল্লির অবস্থা আরও ভয়াবহ! দিল্লির জয়পুর গোল্ডেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, শুধুমাত্র অক্সিজেনের অভাবের কারণে শুক্রবার রাতে ২০ জনের মৃত্যু হয়েছে সেখানে। মৃতসরের নীলকান্ত হাসপাতালে, অক্সিজেনের অভাবে ৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।