নৈহাটি : ভোট-পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়ে উঠল নৈহাটি। তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে ১০জন আহত হয়েছেন। উভয়পক্ষই বোমা, গুলি চালানোর অভিযোগ করেছে। ঘটনার পর ১৪জন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। যার প্রতিবাদে শনিবার সকালে নৈহাটি থানা ঘেরাও করেন বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা।



ভোটপর্ব মিটতেই গন্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূলের অভিযোগ, তাদের এক কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে বিজেপি কর্মীরা। বিজেপির পাল্টা দাবি, গতকাল তৃণমূলের তরফে হামলা চালানো হয়, যাতে দু-পক্ষের সংঘর্ষ বাঁধে। বোমাবাজি ছাড়াও গুলি চলে এলাকায়। সংঘর্ষের ঘটনা ঘিরে গতকাল থেকেই উত্তপ্ত নৈহাটির ২৩ ও ২৪ নম্বর ওয়ার্ড। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পরে র‍্যাফ নামানো হয়। শনিবার প্রতিবাদে নৈহাটি থানা ঘেরাও করেন বিজেপির কর্মীরা। ঘটনাস্থলে আসেন বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং।

নৈহাটির ১ নম্বর বিজয় নগর অভিযাত্রী ক্লাবের সামনে বিজেপি কর্মীদের বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। গেরুয়া ব্রিগেডের দাবি , তাদের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমা-গুলি ছোড়া হয়েছে। অভিযোগ, ২৪ নম্বর ওয়ার্ডে বিজেপির বুথ সভাপতির বাড়ি লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়েছে। বিজেপি কর্মীর বাবাকে মারধর করেছে তৃণমূলের বাহিনী। এই নিয়ে রীতিমতো উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। পরে রাতভর তল্লাশি চালিয়ে ১৪ জন বিজেপি কর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। কেন বেছে বেছে বিজেপি কর্মীদের আটক করা হয়েছে, তার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করেন কর্মীরা।

বেলা বাড়তেই থানায় পৌঁছেছেন ব্যারাকপুর কমিশনারেটের যুগ্ম কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে। তাঁক ঘিরে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। হামলা প্রসঙ্গে এক বিজেপি কর্মী জানান, তাঁর বাড়িতে গতকাল রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ বোমবাজি করেছে তৃণমূলের লোকজন। বোমার স্প্লিন্টার তাঁর ছেলের পিঠে লেগেছে। হামলায় তাঁর বাড়ির কাঁচ ও গ্যারেজ ভেঙে গিয়েছে। ছাদে এখনও পড়ে রয়েছে বোমা। এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় উল্টে তাদেরই ১৪ জনকে আটক করা হয়েছে। যার প্রতিবাদে থানা ঘেরাও করেছেন তাঁরা।  

এদিকে থানা চত্বরে যাতে উত্তেজনা না ছড়ায় তাই র‍্যাফ মোতায়েন করা হয়েছে। রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। হামলার প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ বলেন, ''শাসক দলের মদতে পুলিশ কাজ করছে। পক্ষপাতিত্ব করছে। এই কারণেই ১৪জন বিজেপি কর্মীকে আটক করা হয়েছে।''