কলকাতা : আসেনি করোনা রিপোর্ট, ৩ দিন ধরে হাসপাতালে পড়ে রোগিণীর মৃতদেহ। শুক্রবার পোর্ট ট্রাস্টের হাসপাতালে ভর্তি হন এন্টালির বাসিন্দা ৪৩ বছরের প্রিয়ঙ্কা দে। পরিবারের দাবি, শনিবার মৃত্যুসংবাদ জানায় হাসপাতাল। অভিযোগ, মৃত্যুর আগে হাসপাতাল থেকে ফোনে রোগিণী জানান, হাত-পা বেঁধে রেখে বিনা চিকিৎসায় তাঁকে ফেলে রাখা হয়েছে। মৃতের পরিবারের কাছে রয়েছে সেই অডিও ক্লিপ। মৃতের পরিবারের দাবি, এবিপি আনন্দে খবর সম্প্রচারের পর, হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। করোনা বিধি মেনে শেষকৃত্য সম্পন্ন হবে। 

অন্যদিকে , হাসপাতালে বেড না পেয়ে বিনা চিকিত্সায় বাড়িতেই করোনা রোগীর মৃত্যুর অভিযোগ। ১২ ঘণ্টা ধরে পড়ে মৃতদেহ। দাবি পরিবারের। পুলিশ ও পুরসভার বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ। লেকটাউন শ্রীপল্লির ঘটনা। মৃতের নাম সুদিন মুখোপাধ্যায়। পরিবারের দাবি, শনিবার ৭৩ বছরের ওই রোগীর করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে। বাড়িতেই চিকিত্সা চলছিল। গতকাল শ্বাসকষ্ট শুরু হওয়ায় বিভিন্ন হাসপাতালে ঘুরেও বেড মেলেনি বলে অভিযোগ।পরিবারের দাবি, অক্সিজেনের অভাবে কার্যত বিনা চিকিত্সায় মৃত্যু হয় ওই করোনা রোগীর। মৃতের স্ত্রী, মেয়েও করোনা আক্রান্ত। বাড়িতে ৩ বছরের একটি শিশু রয়েছে। সংক্রমণ ছড়ানোর আশঙ্কা পরিবারের। পুরসভার প্রতিক্রিয়া এখনও মেলেনি। 

দেশে প্রথমবার সাড়ে ৩ লক্ষের গণ্ডি ছাড়াল করোনায় দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা। ফের দৈনিক সংক্রমণে বিশ্বে সর্বকালীন রেকর্ড গড়ল ভারত। দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাতেও রেকর্ড ভারতের। লাগাতার ২ দিন ধরে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যা তিনহাজার ছুঁইছুঁই।  কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রবিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ভারতে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লক্ষ ৫২ হাজার ৯৯১ জন। রবিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যাটা ছিল ৩ লক্ষ ৪৯ হাজার ৬৯১।শনিবার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৩ লক্ষ ৪৬ হাজার ৭৮৬ জন। অর্থাত্‍, প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। দেশে দৈনিক মৃত্যুর সংখ্যাও বেড়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রবিবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ৮১২ জনের।